কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার দেবহাটায় রফতানিযোগ্য বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুষকালে উপজেলা প্রশাসন ও র্যাবের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গত বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পারুলিয়ার বেশ কয়েকটি রফতানিযোগ্য চিংড়ি মাছের ডিপোতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় পারুলিয়ার আলহাজ্ব নূর আমিন গাজীর মালিকানাধীন আমিন ফিস থেকে অপদ্রব্য পুষকাজে নিয়োজিত পাঁচজন নারী শ্রমিক ও মাসুদ রানার মালিকানাধীন আলিফ ফিস থেকে তিনজন নারী শ্রমিককে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একইসঙ্গে আমিন ফিস থেকে ৩৪০ কেজি এবং আলিফ ফিস থেকে ৯০ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক রফতানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুষের দায়ে আটককৃত আট নারী শ্রমিককে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং আমিন ফিসের মালিককে সাড়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী এবিষয়ে বলেন, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারুলিয়ার আমিন ফিসের মালিক নূর আমিন গাজী এবং আলিফ ফিসের মালিক মাসুদ রানাসহ বেশ কয়েকজন ডিপো মালিক অতি মুনাফার লোভে রফতানিযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে জেলি, ফিটকিরি, সাগুদানা, ভাতের মাড়সহ নানা ধরনের অপদ্রব্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে পুষ করে আসছিল।
অপদ্রব্য পুষের কাজে তারা স্বল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্থানীয় অসহায়, দুঃস্থ, বিধবা ও ডিভোর্সি নারীদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করতো। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক পরবর্তী বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান, জরিমানা আদায় ও জব্দকৃত ৪৩০ কেজি চিংড়ি জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয় বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপজেলা মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেনসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড