• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হাইব্রিড সুপার তাব্বি জাতের ফুলকপির চাষে কৃষকদের মুখে হাসি

  মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, ঠাকুরগাঁও

১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪৫
হাইব্রিড সুপার তাব্বি জাতের ফুলকপির চাষে কৃষকদের মুখে হাসি
হাইব্রিড সুপার তাব্বি জাতের ফুলকপি (ছবি : অধিকার)

আগাম জাতের হাইব্রিড সুপার তাব্বি ফুলকপি চাষ করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের কপিবাড়ি এলাকার কৃষকরা মাত্র ৫০-৫৫ দিনে মধ্যে ভালো ফলন পাওয়ায় লাভবান হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ কপি গাছের সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে। আর এসব সবজির ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অন্যান্য বারের তুলনামূলক এবার দাম ভালো পাওয়ায় সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে। তাই অনেকে একটু অধিক লাভের আশায় চাষ করেছেন লাল তীর শীড কোম্পানির আগাম জাতের হাইব্রিড সুপার তাব্বি জাতের ফুল কপি।

এ জাতের কপির চারা রোপণের মাত্র ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে কপি বাজারজাত করতে পারছেন কৃষকরা। আর একেকটি কপির ওজন এক থেকে দের কেজি হওয়ায় খরচের হওয়ার চেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। স্বল্প দিনে কপির এমন ফলন ও দামে খুশি চাষিরা এবং এ জাতের কপির চাহিদাও বাজারে অনেক বলে জানান কৃষকরা।

সদর উপজেলার আচকা ইউনিয়নের কপিবাড়ি এলাকার কৃষক লুৎফুল ইসলাম বলেন, এবার আগাম জাতের সুপার তাব্বি কপি ২৫ শতক জমিতে আবাদ করেছি। তাতে আমার মোট খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আর এই পর্যন্ত বিক্রয় করেছে ২৫ হাজার টাকা। এখনো ক্ষেতে যা কপি আছে তাতে আরও প্রায় ১২ হাজার টাকা বিক্রয় করতে পারবো। অন্যান্য আগাম জাতের কপির চেয়ে এ জাতের কপি দ্রুত বাজারজাত করা যায় ও ফলনও অনেক বেশি হচ্ছে।

একই এলাকার কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি অনেক জাতের কপি করেছি কিন্তু এবার মাত্র ৫৫ দিনে কপির এমন ফলন আর অন্য জাতের কপিতে পাইনি। এমন ফলন পাওয়ায় আমি খুব খুশি। আমাদের দেখে আশপাশের অনেক কপি চাষি এ জাতের কপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তাই আমরা আগামীতে এ জারে কপির বীজ যেন সময় মতো ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাই তাই কোম্পানিকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

কপি চাষি মানিক চন্দ্র বর্মণ ও সতেন্দ্র নার্থ বলেন, এই কপিটার ওজন ও সাইজে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অন্য কপির থেকে দেখতে ও মানেও অনেক ভালো এবং কপি বস্তায় বা ক্রেরেটে বাজার জাত করতে কোনো প্রকার দাগ হয় না।

সদর উপজেলার ঐশ্বী বীজ ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক বলেন, এবার সুপার তাব্বি জাতের কপির বীজ বিক্রয় করে ভালো সারা পাচ্ছেন। এই মৌসুমে যা বীজ বিক্রয় হয়েছে তার থেকে আগামীতে প্রায় ১০ গুণ বেশি বিক্রয় হবে বলে আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশ লাল তীর সীড লিমিটেডের রংপুর বিভাগীয় ম্যানেজার মহেদী হাসান খান মাঠ পরিদর্শনে এসে জানান, যে কমিটমেন্ট দিয়েছিল কোম্পানি তার প্রমাণ কপি চাষ করে কৃষকরা পেয়েছে। কোম্পানি সবসময় কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভালো বীজ প্রদান ও মাট পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ জানান, জেলায় এবার সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমি। আগাম জাতের সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড