মো. রেজোয়ান ইসলাম, নীলফামারী
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে রাস্তায় নেমে আসে মুক্তিকামী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিজয়ের উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে সে সময়ের মহকুমা শহর। জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
১৯৭১ সালে ৬ থানা নিয়ে নীলফামারী ছিল একটি মহকুমা শহর। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নীলফামারী জেলা ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অধীনে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন- খাদেমুল বাশার। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানকার অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করেন।
মিটিং, মিছিল ও সভা–সমাবেশ থেকে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয় এবং শুরু হয় প্রতিরোধ। মহকুমা শহরে রক্ষিত অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ট্রেনিং শুরু হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ১২ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নীলফামারী শহর ছেড়ে আশ্রয় নেয় সৈয়দপুর সেনানিবাসে এবং নীলফামারী শহর মুক্ত হয়। ১৩ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন নীলফামারী শহরে আনন্দ মিছিল করে এবং চৌরঙ্গী মোড়ে বাংলাদেশের স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।
দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারীর অনেকে শহীদ হয়েছেন। এ জেলায় রয়েছে ২৫টি বধ্যভূমি। প্রতিবছর ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হয়।
'দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আসাদুজ্জামান নুর এমপি। এছাড়া বিশেষ উপস্থিত ছিলেন- পঙ্কজ ঘোষ জেলা প্রশাসক নীলফামারী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম পুলিশ সুপার নীলফামারী, আহম্মেদ দেওয়ান কামাল সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নীলফামারী জেলা শাখা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড