• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

১৩ কাঠা জমিতে লাভ সাড়ে চার লাখ টাকা!

টমেটোর গ্র্যাফটিং করে কৃষকের বাজিমাৎ

  কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২৮
টমেটোর গ্র্যাফটিং করে কৃষকের বাজিমাৎ
টমেটোর গ্র্যাফটিং (ছবি : অধিকার)

কৃষক জহুরুল ইসলাম বাদল। বাড়ি নওগাঁ জেলাধীন রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামে। নিজস্ব জমিতে ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং ভালোভাবেই করেন। জমিতে নতুন নতুন জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল ফসল উৎপাদন তার নেশা। গতানুগতিক সাধারণ যে কোনো ফসলকে ব্যতিক্রমী উপায়ে উৎপাদন করে অধিক লাভবান হওয়ার উপায় খুঁজে বের করেন তিনি।

ঠিক একইভাবে এ বছর তিনি জংলি বেগুন গাছের সাথে গ্র্যাফটিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে অত্যন্ত সফলতা পেয়েছেন এই কৃষক। এ নিয়ে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার এই সফলতা দেখে অনেক কৃষক গ্র্যাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

তার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউটিউব থেকে পেয়েছেন এক নতুন ধারনা। সেই ধারনা অনুযায়ী তাঁর নিজস্ব সম্পত্তিতে প্রয়োগ করলেন। গ্রামে জংগলে পাওয়া যায় এক ধরনের জংলি বেগুন। কেউ এটিকে বলে কাঁটা বেগুন আবার কেউ বলেন ঘুটি বেগুন। ১৫ দিনের ব্যবধানে তিনি ঘুটি বেগুনের বীজ এবং টমেটোর বীজ রোপণ করে তৈরি করলেন চারা। সেই চারা তিনি নিজস্ব ১৩ কাঠা জমিতে গ্র্যাফটিং করে রোপণ করেন। হয়ে গেল তাজা তাজা হাইব্রিড জাতের টমেটোর গাছ। সব মিলিয়ে তাঁর খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা।

রোপণের দুই মাস পর থেকেই গাছে গাছে ফল আসে। স্বাভাবিক টমেটোর গাছ থেকে তার এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি গাছে অনেক বেশী বেশী টমেটো ধরেছে। গাছে ফল আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই দুই মাসে ওই জমি থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কেজি করে টমেটো উত্তোলিত হচ্ছে। এসব টমেটো বাজারে প্রতি কেজি ১১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে বিগত দুইমাসে কমপক্ষে চার লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।

আগামী আরও একমাস তিনি টমেটো বিক্রি করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। উৎপাদনের হার থাকবে একই রকম। মূল্যও পাবেন একই। অর্থাৎ পুরো মওসুমে তিনি কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন। খরচ বাদ দিয়ে নিট মুনাফা করবেন সাড়ে চার লাখ টাকা। তার এই নতুন প্রক্রিয়ায় টমেটো চাষের সফলতা দেখে এলাকার অনেক কৃষকই এখন এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বাদলের সহায়তায় তারা চাষ করতে চান।

রানীনগর উপজেলার কৃষি অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সময়ের প্রয়োজনে কৃষকদের নতুন নতুন অধিক উৎপাদনশীল ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় রানীনগরের চাষি বাদলসহ অনেকেই গ্র্যাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাল করে সাফল্য অর্জন করেছেন। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে বরে জানায় কৃষি বিভাগ।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড