নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, আদমদীঘি (বগুড়া)
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় যুবলীগের মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপরই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করে। উপজেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করেছে।
এতে আহতরা হলেন- মশিউর রহমান, বাপ্পী হোসেন, মিঠু হোসেন, রাসেল হোসেন ও জাফরান হোসেন। আহতরা বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগ দলীয় কার্যালয় থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পরপর ৪টি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচজন আহত হন।
এ দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ককটেল হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, সহ সভাপতি আবু রেজা খান, নাজিমুল হুদা খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানসহ অনেকে।
বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার বলেন, মিছিলে হামলার ঘটনার পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় তারা ওই কার্যালয়ের টেলিভিশন ও আসবাব ভাঙচুর করেছে।
এ দিকে আওয়ামী লীগের কেউ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা করেনি বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল।
ককটেল হামলার বিষয়ে আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা চালানোর ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ককটেল হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড