শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, স্টাফ রিপোর্টার (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা কারবারি হিসেবে আত্মসমর্পণ করা ১০১ জনের প্রত্যেককে ১৮ মাস কারে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। যদিও ইয়াবা মামলায় শাস্তি দেওয়া হলেও অস্ত্র মামলায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে এ রায় দেয়া হয়।
এ রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফরিদুল আলম জানান, ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে এই রায়ের মাধ্যমে মাদক নির্মূলে সমাজে একটি বার্তা যাবে।
এজলাস থেকে বেরিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, আত্মসমর্পণটি ছিল তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপের পদক পাওয়ার লোভে সাজানো নাটক। আত্মসমর্পণের জন্য ১০২ জনকে আগে থেকেই পুলিশ লাইনে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্দি রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রমাণ না হওয়া স্বত্বেও সমাজে যেন ভুল বার্তা না ছড়ায়, তাই আদালত আসামিদের নামমাত্র (প্রতীকী শাস্তি) শাস্তি দিয়েছে জানিয়ে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী আরও বলেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন কি-না সেই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তিন লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ৩০টি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন ইয়াবা কারবারি। এই ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। পরে মামলার বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে একজন আসামি মারা যান।
এ দিকে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ছিল সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদীর আপন চার ভাই (আব্দুল আমিন, আব্দুর শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল রহমান); ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু; চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলম। আরও আছেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ ও তার বড় ভাই আব্দুর রহমান; বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদের ছেলে দিদার মিয়া; টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ; টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এনামুল হক এনাম মেম্বারসহ ১০১ জন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড