সাইফুল ইসলাম, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট বাজারে ভুয়া চিকিৎসক ও ভুয়া ঔষধ বিক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সুজন দাস গুপ্ত।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন বাচ্চু ছৈয়ালের তথ্য সূত্রে এমএম আয়ুর্বেদিক কোম্পানির ভুয়া ঔষধ বিক্রেতা মো. আল আমিনকে আটক করা হয়। পরবর্তীকালে তার তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুর রহিম শেখসহ (৪২) চারজনকে আটক করা হয়।
এমএম আয়ুর্বেদ কোম্পানির লাইসেন্স থাকলেও আল আমিনের বিক্রয় করা ঔষধ গুলোর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স নেই। আব্দুর রহিম শেখ ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিক করে নিজেকে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের দাঁতের চিকিৎসা করে প্রতারণা করে আসছিল।
অবৈধ ভুয়া ঔষধ বিক্রির দায়ে আল আমিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৪ ধারায় এক মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিতে হবে। আব্দুর রহিম শেখকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও তাদের সহযোগী পাবনা জেলার ড্রাইভার মো. মহরম আলী, রাজবাড়ি সদরের ঢোলবাদক রাকিব রহমান ও ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার গায়ক মো. করিম শেখ অবৈধ কাজে সহযোগিতা না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এক মাসের কারাদণ্ড প্রাপ্ত জামালপুর সদরের বাঘের হাটের মো. আকরামের পুত্র আল আমিন ও ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আব্দুর রহিম শেখ ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার কয়েস দিয়া গ্রামের মৃত মইন উদ্দিনের পুত্র।
গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মাইদুল ইসলাম সম্রাট বলেন, যে ঔষধ গুলো জব্দ করা হয়েছে সেগুলো মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নিবন্ধিত এমবিবিএস ডাক্তারের অনুমতি ব্যতীত কোনো ঔষধই ব্যবহার করা উচিত নয়।
অভিযানের অবৈধ ঔষধ গুলো ধ্বংস করা শেষে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সুজন দাস গুপ্ত বলেন, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড