• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিয়ে ছাড়াই তিন বছর বয়সী শিশুর পিতা হলেন প্রবাসী! 

  শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, স্টাফ রিপোর্টার (কক্সবাজার)

২২ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫০
বিয়ে ছাড়াই তিন বছর বয়সী শিশুর পিতা হলেন প্রবাসী! 

বিয়ে না করেও এক প্রবাসীকে পিতা দেখিয়ে মারুফা জান্নাত কেয়া মনি নামের ৩ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুর জন্ম নিবন্ধন করে দিলেন এক ইউপি সদস্য। কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।

জন্ম নিবন্ধনে মারুফা জান্নাত কেয়া কেয়া মনি নামের ওই কন্যা শিশুর মাতার নাম পারভীন আক্তার, কিন্তু পিতা নাম উল্লেখ করা হয়েছে মো. মাশুক। যিনি একজন প্রবাসী। মো. মাশুক ২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন।

গত সাত বছরে কখনো তিনি বাংলাদেশে আসেননি। এখন সবার মনে কৌতূহল; তাহলে কিভাবে এই প্রবাসী তিন বছর বয়সী কন্যা শিশু পিতা হলেন।

শিশুর জন্ম নিবন্ধনে পিতার নাম মো. মাশুক উল্লেখ করার বিষয়ে প্রবাসী মাশুক জানান, ২০১৫ সালে শাপলাপুর ইউনিয়নের মুকবেকী বুধারপাড়া এলাকার খোরশেদ আলমের মেয়ে পারভীন আক্তারের (২৪) সাথে মোবাইলে পরিচয় হয় তার। প্রবাস থেকে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে পারিবারিক নানা সমস্যা দেখিয়ে পারভীন আক্তার এই মালয়েশিয়া প্রবাসীর প্রায় ৩২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।

পারভীনের সাথে বিয়ে হয়েছে কি-না এবং মারুফা জান্নাত কিয়া মনি তার সন্তান কি-না জানতে চাইলে প্রবাসী জানান, বিয়ে করার প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং নিজের নামে (পারভীন) জায়গা কেনার পর প্রতারণা করে নিঃস্ব করেছে তাকে।গত সাত বছর তিনি প্রবাসে, তাহলে ৩ বছর বয়সী মারুফা জান্নাত নামের পারভীন আক্তারের ওই শিশু কি করে তার সন্তান হয়, বলেন এই প্রবাসী।

এই বিষয়ে পারভীন আক্তার বলেন, প্রবাসী মো. মাশুককে তিনি চিনেন। তার কাছ থেকে ৩২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ও অস্বীকার করেন এবং বিয়েও হয়নি বলে দাবি করেন পারভীন। তবে তার সাথে মোবাইলে প্রেম ছিল বলে জানান পারভীন।

বিয়ে না হলে পারভীনের মেয়ে মারুফা জান্নাত কিয়া মনির জন্ম নিবন্ধনে পিতা কিভাবে মো. মাশুক উল্লেখ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। এই জন্ম নিবন্ধন শাপলাপর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদুল আলমের মাধ্যমে করেছেন বলে জানান তিনি। জন্ম নিবন্ধনে যাচাইকারীর হিসেবে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদুল আলমের সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে।

ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম জানান, পারভীন ও প্রবাসী মো. মাশুকের মধ্যে বিয়ে হয়েছে বলে তিনি জানতেন, সেই সুবাদে এই জন্ম নিবন্ধন তিনি যাচাই করেছেন। পারভীন ও মাশুকের বিয়ের কোনো লিখিত প্রমাণ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওই জনপ্রতিনিধি তাদের বিয়ের কোনো প্রমাণ নেই বলে জানান। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এই জন্ম নিবন্ধনে মাশুক নামের ওই প্রবাসীকে পিতা উল্লেখ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

ইতোমধ্যে বিয়ে না হওয়া সত্ত্বেও প্রবাসীকে স্বামী উল্লেখ করে পারভীন তার মেয়ের ভুয়া জন্ম নিবন্ধন করা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এখন সবার প্রশ্ন কন্যা শিশুটির আল বাবা কে?

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড