শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
বাংলাদেশের দীর্ঘতম একমাত্র চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্কের ঝুলন্ত সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়েছিল। যার দরুন ভয় ও আতংক নিয়ে মুষ্টিমেয় দর্শনার্থী সেতু পারাপার করতো। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে এ সেতুর সংস্কারের জন্য পাটাতনগুলো খুলে ফেলা হয়।
দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় ধরে চলে এ সেতুর সংস্কারের কাজ। জীর্ণশীর্ণ বেহাল দশার অবস্থা থেকে সেতুটি নতুন রূপ ফেল। সম্পূর্ণ নতুন পাটাতন বসানো হলো। রঙ করে আকর্ষণীয় করা হলো। অবশেষে চলতি নভেম্বর মাসের গত শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ঝুলন্ত সেতুটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুজ্জমান শেখ। তিনি বলেন- দীর্ঘদিন ধরে জীর্ণশীর্ণ পড়ে থাকা সেতুর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে দর্শনার্থীদের জন্য খোলে দেওয়া হলো। এখন থেকে সেতু পারাপার করে আনন্দঘন সময় পার করতে পারবে পার্কে আশা পর্যটকরা।
উল্লেখ্য, বাঁশখালী ইকোপার্ক দক্ষিণ চট্টগ্রামের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সমন্বয় সম্বলিত একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক। সু-উচ্চ পাহাড়, মন জুড়ানো সবুজের ছায়াঘেরা গাছগাছালি, সন্ধ্যায় বন্যপ্রাণীর হাঁকডাক, বামের ও ডানের ছড়া লেকের স্বচ্ছ জলরাশি, সু-উচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ সব মিলিয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নয়নাভিরাম অভয়ারণ্য বাঁশখালী ইকো-পার্ক।
এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো রয়েছে অজস্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণ। প্রতিদিন বিকালের গোধূলিতে লেকের সৌন্দর্যে মন ভরে যায়। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির বিচরণ পার্কটিকে করেছে আরও রোমাঞ্চকর। শুরু হয়েছে শীতের মৌসুম। এ মৌসুমে ভিনদেশীয় নানাজাতের পাখির বিচরণ ঘটে এ পার্কে।
বিশেষ করে পরিযায়ী পাখির কলরবে সন্ধ্যায় ইকোপার্ক মুখরিত হয়ে উঠে। এতে অন্যরকম অনুভূতির চঞ্চার ঘটে দর্শনার্থীদের। সরকারি দীর্ঘ ছুটির দিনে, সপ্তাহের শুক্রবারে দেশর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ করতে আসে ভ্রমণবিলাসী লোকজন। এমনিতেই নিত্যদিন দর্শকের আনাগোনায় মুখরিত থাকে পার্কটি।
যদিও পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে পার্কটি ফিরে পাবে সৌন্দর্যের চিরযৌবন। পার্কের কটেজ, ছাতা, রিফ্রেশমেন্ট কর্নার, বসার জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার সহ স্থাপনা এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। প্রধান সড়ক থেকে পার্কের মূল পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে দেশের দূরদূরান্ত থেকে আশা পর্যটকদের নানা বেগ পেতে হচ্ছে। সরু সড়ক দিয়ে সহসা বড় কোন যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সড়কের পার্শ্বদেশ বাড়ানোসহ সড়কটি পুনঃসস্কার করলে নির্বিঘ্নে যাতায়ত করতে পারবে দর্শনার্থীরা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড