• শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

লটারির টিকিট বিক্রি করে শ্রীঘরে সাত যুবক

  রাকিব হাসনাত, পাবনা

২০ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০২
লটারির টিকিট বিক্রি করে শ্রীঘরে সাত যুবক

পাবনার ঈশ্বরদীতে তাঁতবস্ত্র ও কুটির শিল্পমেলায় গত কয়েকদিন ধরে চলে আসছিল অনুমোদনহীন লটারির রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছিল অবৈধ লটারির বাণিজ্য।

লটারিতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ফ্রিজসহ লোভনীয় পুরস্কার পাওয়ার লোভে প্রতিদিন টিকিট কিনে প্রতারিত হয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার প্রতিটি উপজেলায় মাইকিং করে চলেছে লটারির টিকিট বিক্রি।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চাটমোহরে ওই মেলার লটারির টিকিট বিক্রির সময় সাতজন টিকিট বিক্রেতাকে আটকের পর তাদের এক মাসের কারাদণ্ড দেন এবং লটারির মালামাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর দিকে একই দিন বিকালে ভেঙে দেয়া হয়েছে ওই মেলাও।

জানা গেছে, চাটমোহর পৌর সদরের শাহী মসজিদ মোড়ে এলাকাবাসী প্রথমে লটারি বিক্রেতাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। খবর পেয়ে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের পন্ডিতপুর গ্রামের সাজু হোসেন, ভাদশা গ্রামের মেশকাত আলী, নূর আলম ও আহাদ আলী, দেবরাইল গ্রামের মতিবুল ইসলাম, কান্দি গ্রামের নাহিদ হোসেন ও বুলপাড়া গ্রামের মিঠু হোসেন। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে নয়টি মাইক সেট, নয়টি ড্রাম, কয়েক হাজার অবিক্রীত টিকিট ও লটারির অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। পরে সাজাপ্রাপ্তদের থানা পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, ষাঁড়, সিএনজি, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন লোভনীয় পুরষ্কার দেবার কথা বলে চাটমোহর, সুজানগর আটঘরিয়া, আতাইকুলা, ঈশ্বরদী, লালপুর, পাবনা সদরসহ আশ পাশের কয়েকটি উপজেলায় লটারির টিকিট বিক্রি করে সংশ্লিষ্টরা প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

টিকিট বিক্রেতা সাজু হোসেন জানান, শনিবার কেবলমাত্র চাটমোহরে ৪০টি অটোবাইকযোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে টিকিট বিক্রি চলছিল।

এ বিষয়ে মেলায় লটারি চালানোর দায়িত্বে থাকা কোরাইশী বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আর সব জায়গা ম্যানেজ করেই লটারি বিক্রি করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, তাঁতবস্ত্র ও কুটির শিল্পমেলার অনুমতি ছিল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। শনিবার বিকালে মেলা প্রাঙ্গণ ভেঙে দেয়া হয়েছে। লটারি অনুমতি ছিল না। তাহলে গত এক সপ্তাহ ধরে লটারির নামে জুয়া খেলা চলল কিভাবে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েসের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড