মো. সাগর মিয়া, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
‘কোনো দিন ৮০ টেহা, কোনো দিন ১০০ টেহা, কোনো দিন খালি হাতেও বাইত যাইতে হয়। আমার প্যাডেল রিকশায় কেউ উডে না গো বাজান।’
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে কথাগুলো বলতে বলতেই প্যাডেল চালাতে লাগলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পূর্ব ধূলজুরী গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন৷
চেহারায় স্পষ্ট রোগাক্রান্তভাব। শ্বাসকষ্ট তবুও প্যাডেল রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন জীবিকার তাগিদে। খেয়ে বেঁচে থাকতে তো হবে। সামর্থ্য নাই রিকশা কেনার তবুও কারো কাছে হাত পাততে নারাজ তিনি। ২০ বছর যাবৎ এভাবে প্যাডেল রিকশা চালিয়েই চলছে গিয়াস উদ্দিনের সংসার।
দেশ ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে যানবাহনেও পরিবর্তন হয়েছে। হোসেনপুর উপজেলায় প্যাডেল রিকশা নেই বললেই চলে। সময় বাঁচাতে সবাই ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়েই চলাচল করে।
শনিবার সকালে দেখা হলে গিয়াস উদ্দিন জানান, গ্যাসের দোকান থেকে মানুষের বাসায় গ্যাসের বোতল ডেলিভারি দিয়ে সারাদিনে ৮০-১০০ টাকা আয় হয়। কোনোদিন খালি হাতেও ফিরতে হয়। অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি আর প্যাডেল মারতে পারেন না বলেও জানান তিনি।
মেসার্স সিদ্দিক এলপিজি গ্যাস স্টোরের মালিক সিদ্দিক হোসেন জানান, দুই জন রিকশা চালক বাসায় এলপিজি গ্যাস ডেলিভারি করে। কোনোদিন ১০০ টাকার মতো ভাড়া পায় তারা। এলপিজি গ্যাস বিক্রি না হলে তাদের ইনকামও বন্ধ থাকে। ব্যাটারি চালিত রিকশা হলে যাত্রীর ভাড়াও পেতেন তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড