ইয়ার হোসেন সোহান, ঝিকরগাছা (যশোর)
রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ভিন্নতায় প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমজ সম্পর্ক অতঃপর বিয়ে মেনে নিতে পারেনি কিশোরীর পরিবার। উপরন্তু প্রেমিক জুয়েল মাহমুদ রানার বিরুদ্ধে অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন প্রেমিকা মোছা. সামিয়া নাজাত।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগটি করেন সামিয়া নাজাত। তার দাবি, প্রেমিক রানার পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক ও আমার বাবা-মা বিএনপি ও বোন-ভগ্নীপতি জামায়াত সমর্থক।
ঘটনাটি উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকুমড়া গ্রামে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সামিয়া নাজাত দাবি করেন, আমার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনেরা অন্যের দ্বারা প্ররোচিত ও প্রলুব্ধ হয়ে আমার স্বামী জুয়েল মাহমুদ রানা’র বিরুদ্ধে আমাকে অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ইত্যাদি মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক একাধিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে চলেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার বিবরণে তিনি আরও বলেন, আমি মাটিকোমড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে আগামী ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. লাল্টু হোসেনের ছেলে এইচএসসি পাশ জুয়েল মাহমুদ রানার সাথে গত ৩ বছর পূর্ব হতে পরস্পরের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিষয়টি উভয় পরিবারের জানাজানি হলে আমার বাবা মো. মুজিবর রহমান ও মা খাদিজা খাতুনসহ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেনি। বরং তারা আমাদের এই সম্পর্ক ঘিরে নানা রকম চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমাদের সম্পর্কের ঘটনাটি জানাজানির পর আমার বাবা-মা বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ আমাদের উভয়কে উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং আমাকে আমার বাবা-মা’র জিম্মায় দেন।
আমার বাবা-মা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক আমার বড় বোন-ভগ্নীপতির সাতক্ষীরা জেলা সদরের পিটিআই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে ২৮ দিন আটকে রেখে জন্ম নিবন্ধনে আমার বয়স বাড়িয়ে আমাকে গোপনে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আটতে থাকে। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে সেখান থেকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসি। পরদিন আমরা যশোরের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে আবারও মুসলিম শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
আমি বর্তমানে শাশুড়ির হেফাজতে স্বামী সংসারে আছি এবং আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- তার শাশুড়ির নাজমা বেগম, ফুফু শ্বশুর মো. আলী কদর, প্রতিবেশী মো. মধু গাজী প্রমুখ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড