মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন আহত হন। আহতদের ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দর্শকদের অভিযোগ খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্র আসলো কিভাবে?
গতকাল রবিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকালে জেলা স্কুল বড় মাঠে আজাদ ক্লাব বনাম জাগ্রত যুব সংঘের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৯০ মিনিটের খেলায় জাগ্রত যুব সংঘ দুই ও আজাদ ক্লাব এক গোল দেন। খেলার সময় শেষ হলে রেফারি আরও দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়। দুই মিনিটের মধ্যে আজাদ ক্লাব আরও একটি গোল দেয় কিন্তু লাইসম্যান তা দেখতে না পেয়ে উত্তেজিত জনতা লাইসম্যানকে ঘিরে রাখে।
এ সময় উৎসুক জনতা মাঠে প্রবেশ করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হলেও গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে স্থানীয়রা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
খেলা দেখতে আসা দর্শকরা জানায়, খেলার মধ্যে হার-জিত থাকবেই তাই বলে মারামারি করতে হবে কেন? খেলার মধ্যে যে ভাবে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি করলো তার মানে বুঝায় যাচ্ছে এটা পূর্ব পরিকল্পিত। যদি পূর্ব পরিকল্পিত না হয় তাহলে মুহূর্তের মধ্যে কিভাবে এতো দেশীয় অস্ত্র পেল তারা।
খেলায় যদি নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে খেলার আয়োজন কেন করা হয়। দ্রুত অপরাধীর আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া কথা জানান দর্শকরা।
ঠাকুরগাঁও সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, ঘটনার দিন বিকালে শহরের জগ্রত যুব সংঘ ও আজাদ ক্লাব এর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড