মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, ঠাকুরগাঁও
একটি ছাগলের তিনটি চারটি বাচ্চা হয় এটা স্বাভাবিক। তবে দুই চোখ একসাথে এবং মুখ যেন মানুষের ঠোঁট আকৃতিরসহ দুটি বিরল আকৃতির এবং একটি স্বাভাবিক ছাগলের বাচ্চা জন্ম দিয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নাগুন ইউনিয়নের ছোট খোচাবাড়ি হাট পাড়ায় এক আদিবাসীর বাড়িতে পালিত একটি ছাগল।
এতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আর ওই বাড়িতে ছাগলে বাচ্চাগুলো দেখতে দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা যায়, গত রবিবার (৬ নভেম্বর) সকালে হাটপাড়ার বাসিন্দা আদিবাসী বুধু হাজদা স্ত্রী মানকো মুর্মু পালিত এক ছাগল এমন বিরল বাচ্চা জন্ম দেয়। ছাগলটি তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটি খাসি ও দুইটি হালোয়ান। এর মধ্যে হালোয়ান বাচ্চা দুইটিই বিরল। একটি বাচ্চার চার পা ও দুই কান থাকলেও নেই নাক, দুটি চোখ একসাথে ও মাথায় একটি লাল বলের মতো টিউমার। আরেকটির চার পা ও দুই কান আছে কিন্তু নাক ও জিহ্বা বিরল এবং দুইটি বাচ্চায় জিহ্বা বেড় করে থাকে।
ছাগলের বাচ্চাগুলোকে দেখতে আসা স্থানীয় সনু বর্মণ বলেন, লোকজনের কাছে শুনে আমি দেখতে আসলাম। এমন ছাগলে বাচ্চা আগে আর আমাদের এইদিকে কখনো দেখিনি এবাই প্রথম।
মনোয়ারা বেগম নামে ওই গ্রামের এক গৃহবধূ বলেন, বাড়ির পাশে মানকো মুর্মুর এক ছাগল বিরল দুই বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এতে এলাকায় মানুষ বাচ্চা গুলো দেখতে ছুটে আসছেন। এটি আসলে এক আজব সৃষ্টি ও ঘটনা।
ছাগলের মালিক মানকো মুর্মু বলেন, আগেও এই ছাগলটি অনেক বাচ্চা দিয়েছে কিন্তু এমন বাচ্চা হয়নি। এবারেই প্রথম ছাগলটির এমন বাচ্চা হয়েছে। তবে খাসি বাচ্চাটি খেতে পারছে ও সুস্থ আছে। আর দুটি হালোয়ান বিরল আকৃতির বাচ্চা গুলো নিজে তার মায়ের দুধ খেতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, চামচে করে তাদের জিহ্বায় ঢেলে দেওয়া লাগে তারপরে একটু খেতে পারে। এমনিতে তারা খেতে পারছে না। আর এমন খবর শুনে এলাকার শত শত মানুষ ছুটে আসছেন আমাদের বাড়িতে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ছাগলের এমন বাচ্চা হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। এমনটি প্রজননসহ জন্মগত ও জীনগত বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড