• রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

ঝুঁকিপূর্ণ তেল নিয়ে বিপাকে ভোক্তারা, নেই সুরাহা

  তরিকুল ইসলাম তরুন, কুষ্টিয়া

২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:২৪
ঝুঁকিপূর্ণ তেল নিয়ে বিপাকে ভোক্তারা, নেই সুরাহা
জ্বালানিবাহী গাড়ি (ছবি : অধিকার)

ভয়াবহ যেসব মজুদাগারে পেট্রোল মজুদ হয়, সেখানকার পেট্রোল যে অনিয়মে আসে তার প্রমাণ মেলে গেল ১৩ সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালতে বে-লাইনে তেল চলাচলের জরিমানায়। যদিও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফের পেট্রোলবাহী গাড়ি ঢুকেছে দৌলতপুরে। অন্য দিকে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়েই এখনো চলছে রমরমা জ্বালানি তেলের ব্যবসা। এসব তথ্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার।

গেল ৬ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোটা দাগে খবর প্রকাশিত হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চারটি স্থানে ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বিস্ফোরক আইন ও অগ্নিনির্বাপক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মজুদ করে বাণিজ্য চালানো হচ্ছে পেট্রোল, অকটেন,কেরোসিনের মতো জ্বালানী তেল। প্রতিবেদকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে নিয়ম মানা তো দূরের বাক্য, বরং তেল-জল-ইলেক্ট্রিসিটি আর সাধারণ মানুষ একাকার করে সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ তাপমাত্রায় অনিয়মের ওপর নাম মাত্র কাগজে তারা এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

নাম উঠে আসে দৌলতপুর সেন্টার মোড় এলাকার ব্যবসায়ী মজনু, হোসেনাবাদ বাজার এলাকার আতাউর রহমান (নিবন্ধনে নাম) ব্যবসা ভিন্ন জনের, হোসেনাবাদ বাজার এলাকার রিপেল এবং মথুরাপুর বড়বাজার গরুর হাট সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী হাচিবুর রহমানের। এই চার ব্যবসায়ী কোথাও টিনের ঘর, কোথাও বদ্ধ ছাদের ঘর, কোথাও মুদি দোকানে, লোহার ব্যারেলে বা প্লাস্টিকের কন্টেইনারে করে মজুদ করছে ১০-২০ থেকে ৪০ হাজার লিটারের মতো তেল। কারো কারো আছে ভূগর্ভস্থ গোপন ট্যাংকি, যেখানে অনুমোদনেরও বেশি পরিমাণে তেল মজুদ করা যায়।

খবরের এমন তথ্য জেনে ওইদিন উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জানিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং খুলনা বিভাগীয় বিস্ফোরক কর্মকর্তা। দীর্ঘ দিন চেপে রাখা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে দ্রুত সমাধানের আরজি রাখেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দৌলতপুর সেন্টার মোড় এলাকায় তেল দিতে আসা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের একটি তেলবাহী গাড়ি কুষ্টিয়া প্রাগপুর সড়কের থানার মোড় পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় নেয় দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, করেন ১০ হাজার টাকা জরিমানাও, দৌলতপুরের ওই অভিযুক্ত ক্রেতাকে আনা হয় পুলিশি তদন্তের আওতায়। কিন্তু তবুও থেমে নেই বিশাল অংকের এই বাণিজ্য। যা কি-না বেশ ঝুঁকিপূর্ণ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী,কর্মচারী, ক্রেতা-বিক্রেতা সবার জন্যেই।

বিভাগীয় বিস্ফোরক কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসন বিষয়টি দৃঢ় নজরে নিলেও এখনো হয়নি সুরাহার শুরু।

২১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি, দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পনের দিন পেরিয়ে গেলেও সুরাহা না হওয়ায় হতাশ সংশ্লিষ্টরা। তাদের প্রত্যাশা দ্রুত বিষয়টি নিয়মের আওতায় আসবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি পেট্রোল পাম্পেই তেলের হাউজ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয় পাঁচজন। যাদের সবাই ওই দফাদার ফিলিং স্টেশনের কর্মী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড