• বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

কক্সবাজারে ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড

  শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৩৩
কারাদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফে ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিস্কৃত সাত সদস্যকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর আগে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিল আদালত। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেছে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, 'অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন। বিচারক ৩৬৫ ধারায় ৫ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেন। আসামিরা উভয় সাজা একসঙ্গে ভোগ করবেন। ফলে সাজা ৭ বছর বলে গণ্য হবে।'

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, এসআই-আবুল কালাম, এসআই- নুরুজ্জামান, এসআই-গোলাম মোস্তফা, এসআই-ফিরোজ আহমেদ, এসআই-আলাউদ্দিন, কনস্টেবল-মোস্তাফা আজম ও কনস্টেবল-আল আমিন। এরা প্রত্যেকে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে বহিষ্কৃত।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার। টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোরে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির কর্মকর্তাকে জানান।

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এই নিরাপত্তাচৌকি স্থাপন করা হয়েছিল। চাঁদা আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসে মেরিন ড্রাইভ সড়কে চৌকির সেনাসদস্যরা মাইক্রোবাস তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা পান।

এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।

পিপি ফরিদুল আলম আরও জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেছিলেন। আজ এই মামলায় রায় হলো।

মামলার বাদী ব্যবসায়ী আবদুল গফুর জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ে সন্তুষ্ট আমি। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনার পর গ্রেপ্তারের পর ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সাত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশও করে। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমটি এখনো চলমান রয়েছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড