• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

‘রংধনু’তে এখন আর রঙ ছড়ায় না

  মো. আকাশ, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৮
‘রংধনু’তে এখন আর রঙ ছড়ায় না
‘রংধনু’ সিনেমা হল (ছবি : অধিকার)

সাধারণ মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম সিনেমা হল। তেমনি সিদ্ধিরগঞ্জে বিনোদন প্রেমী মানুষদের জন্য বেশ পরিচিত নাম 'রংধনু' সিনেমা হল। তবে কারণ বসত সিনেমা হলটি খাদ্য গুদামে পরিণত হয়েছে।

১৯৯২ সালে একাধিক মালিকের হতে 'রংধনু' সিনেমা হল চালু হয়েছিল। তখন থেকে ব্যাপক চাহিদা ছিল হলটির।

১৯৯০ দশকে বেশ পরিচিত সিনেমা হল ছিল রংধনু। দূরদূরান্ত থেকে এসে এ সিনেমা হলে বাংলা সিনেমা দেখতেন বিনোদন প্রেমীরা। শুধু নারায়ণগঞ্জবাসীই নয় ঢাকার পাশের জেলা হওয়ায় অন্য জেলা থেকেও এসে সিনেমা দেখত মানুষ। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক সিনেমা হল থাকলেও রংধনুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি ছিল বলে জানান অনেকে।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলা সিনেমার মান অনেকটা কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে।সেই বন্ধের তালিকায় বাদ যায়নি 'রংধনু' সিনেমা হলও।

গুঞ্জন আছে, অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে একাধিকবার বন্ধ করা হয়েছিল হলটি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হলটির আশপাশের বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে হলটি ভাংচুর করে তিনজন নারীকে পুলিশেও তুলে দেন।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-শিমরাইল সড়কের পাশে অবস্থিত রংধনু সিনেমা হলটির একাধিক মালিক ছিলেন। আটি এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদ, গোদনাইল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান ও মুসলিমসহ ৫-৭ জন মালিক ছিলেন হলটির।

২০০০ সালের পর বাংলা সিনেমার হারিয়ে যাওয়া সোনালী যুগকে আবারও ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তাতেও কোনো ফয়দা হয়নি।

এ বিষয় রংধনুর হলের জায়গার মালিকের ছেলে তাওলাদ আহমেদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, এক সময় সিনেমা হল ছিল। তখন তো দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে আমাদের এ হলে ছবি দেখত। আমার ভাইসহ আরও কয়েকজন অংশীদার হয়ে হলটি চালু করেছিলেন। তবে এটাতে কিছু সংখ্যক মানুষ অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর কারণে অনেকবার বন্ধ করা হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে বন্ধ হওয়ার পর থেকে আর চালু করা হয়নি। তারপর থেকে এটাকে আমরা এখন খাদ্য গুদাম হিসেবে ভাড়া দিয়ে রেখেছি। এখন আর সিনেমার কথা বলেও কি হবে, অনেক পরিচিত সিনেমা হল ছিল এটা।

এ বিষয়ে রংধনু হলের পাশের চায়ের দোকানদার মো. বাবুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখতাম এ হলে দর্শকদের ভিড় লেগে থাকত। তখন মাঝে মধ্যে আমরাও ছবি দেখতাম। বছর কয়েক আগে এলাকার লোকজন এসে ভাঙচুর করার পর থেকে আর চালু হয়নি হলটি। এখন তো খাদ্য গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয় এ জায়গা। তবে আগে অনেক আনন্দ লাগতো মানুষজন ভরপুর থাকতো। একটা ভালোলাগা কাজ করত।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড