ডোবা থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলার ধানিসাফা গ্রামে আলম বেপারীর বাড়ির পিছনের একটি ডোবা থেকে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।

নিহত হেলাল হোসেন পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার সাউথখালী গ্রামের আব্দুল কাদের গাজীর ছেলে ও পেশায় একজন ইলেকট্রনিক্স মেকানিক।

দীর্ঘ ১১ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় নিহতের বোন মিনারা বেগম (৩৮) বাদী হয়ে ভাবী সাজেদা বেগম মনির (২১) বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ পলাতক সাজেদা বেগম মনিকে স্বরূপকাঠি উপজেলা শহর থেকে গ্রেফতার করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত মনিকে মঠবাড়িয়া থানায় আনা হয়নি।

মামলা সূত্রে ও ধানীসাফা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. খোকন খান জানান, হেলাল ধানীসাফা গ্রামের তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং একটি ভবনের কেয়ারটেকারের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের তাবাসসুম নামে দেড়ে বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিভিন্ন সময় স্ত্রীর সাথে হেলালের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হতো। কিছুদিন আগেও হেলালের সাথে তার স্ত্রীর টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ২৫ আগস্ট রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি ও মারামারি হয়। পরে রাতে হেলাল নিখোঁজ হন। স্থানীয়ভাবে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগে এক নারী শাক তুলতে গিয়ে স্থানীয় আলম বেপারীর বাড়ির পিছনে একটি ডোবায় অর্ধগলিত অবস্থায় হেলালের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম মনিকে স্বরূপকাঠি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে নিহত ওই যুবকের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানাকে জানানো বা কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।