চোখে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে শিক্ষিকা শিরিনার

ক্লাস চলাকালীন সময়ে ফ্যান খুলে ডান চোখ হারানো সহকারী শিক্ষিকা শিরিনা আকতারের অপারেশন করা ডান চোখের ভিতরে কিছুটা রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গত ১ আগস্ট দুর্ঘটনার পর থেকে বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ছটফট করছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ডান চোখ ঠিকমতো খুলে তাকাতে পারছেন না। তাকালেই আগুনের ফুলকির মতো লাল লাল আভা যেন ছোটাছুটি করছে।

এ দিকে দৈনিক অধিকারসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ৬দিন পর শনিবার (৬ আগস্ট) সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম তৌফিকুর রহমান, উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাদির উজ্জামান ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম ফারুক শিক্ষিকা শিরিনা আকতারকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান।

শিক্ষিকা শিরিনা আকতার বলেন, চোখের যন্ত্রণায় রাতে একদম ঘুমাতে পারছি না। চোখ খুললে ব্যথা বেশি হয়। এছাড়াও ডান চোখ দিয়ে অনর্গল পানি পরছে। বাম চোখ বন্ধ করে ডান চোখ দিয়ে তাকালে কিছুই দেখতে পাই না।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে চোখে প্রচণ্ড ব্যথা হলে সকালে এসে ডাক্তার নতুন করে ঔষধ দিয়েছেন। চোখের ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে শুনতে পেয়েছি।

শিক্ষিকা শিরিনা আকতার এখনো স্বপ্ন দেখছেন তার ডান চোখ ভাল হয়ে যাবে। তিনি দুচোখে আগের মতো দেখতে পাবেন।

এ দিকে পরিবার থেকে তাকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করছেন। তারা ওই শিক্ষিকার চোখ প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারেও ভাবছেন। এ জন্য ভাল চিকিৎসক দিয়ে কনসাল করতে চান।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. মুফাক খারুল ইসলাম মুকুল জানান, চোখের রেটিনা, কর্নিয়া, ভিটিরিয়াস লেন্স সব বের হয়ে এসেছে। অনেক বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। আমরা এপিয়ারেন্সটা ভিজুয়াটালাইজড করেছি। সম্ভাবনা কম হলেও রোগীকে ভারতে নিয়ে গিয়ে সিনিয়র চিকিৎসকদের সাথে কনসাল্ট করা যেতে পারে।

এ দিকে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম তৌফিকুর রহমান জানান, শিক্ষিকা শিরিনা আকতার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার অপারেশন করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে আমরা তাকে দেখতে এসেছি।