মিজানুর রহমান, টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সমুদ্র সৈকতে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া ফিশিং বোট সাগরে উঠা নামায় দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার হচ্ছে চাঁদের গাড়ী (জিপ)। মূলত এই গাড়ী প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় সাগর থেকে রশি দিয়ে বোট উঠা নামানোর কাজে ব্যবহার হয়।
আর এতে সমুদ্র সৈকতে বসবাসকারী লাল কাঁকড়া, কচ্ছপ, কচ্ছপের ডিমসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক জীব মারা যাচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ থেকে বাহার ছড়া ইউনিয়নের শামলা পুর পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৫ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে শত শত ফিশিং বোট সাগরে উঠা-নামা করতে গিয়ে হাজার হাজার সামুদ্রিক জীব ধংস হচ্ছে। ফলে যেমনি পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি সামুদ্রিক জীব শূন্য হয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলার প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে দেখা যায়, অতীতে যেভাবে লাল কাঁকড়া সাগরপাড়ে উঠে আসত; ইদানীং বিন্দু মাত্রও চোখে পড়ে না।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিদিন সমুদ্র চরে চাঁদের গাড়ি জীব বোট টানার কারণে এই লাল কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক জীব গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর ও উপকূলীয় বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোনো তদারকি নেই। অবিলম্বে এই চাঁদের গাড়ি বন্ধ না হলে টেকনাফ উপজেলার সমুদ্র সৈকতের কচ্ছপের প্রজনন স্থান ও লাল কাঁকড়াসহ সকল সামুদ্রিক জীব শূন্য হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মত সচেতন মহলের।
উল্লেখিত বিষয়ে টেকনাফ উপকূলীয় বন রেঞ্জ কর্মকর্তা অসিম বারীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তবে এই বিষয়ে অভিযান করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলাপ করে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড