এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সৌন্দর্য্যমন্ডিত খৈয়াছরা ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধারে তেমন কেউ এগিয়ে না এলেও ছবি-ভিডিয়ো ধারণে ব্যস্ত ছিলেন অনেকেই। দুর্ঘটনাস্থলের পাশ থেকে দৌঁড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে একে একে মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় সমাজকর্মী খান মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন স্বপ্নতরী-৭১ এর প্রতিষ্ঠাতা। তাকে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনের দুই যাত্রী।
খান মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই আমার বাড়ি। ঘটনার সময় রেললাইনের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। দেখি ট্রেনের ইঞ্জিনে একটি মাইক্রোবাস ঝুলছে। হতভম্ব হয়ে পড়ি আমি। দৌড়ে বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের কাছাকাছি ঝিলিপুলে যাই। এ সময় অনেককে ঘটনার ছবি-ভিডিয়ো ধারণ করতে দেখে চিৎকার শুরু করি। একাই উদ্ধার কাজ শুরু করি। একে একে সবাইকে বাইরে নিয়ে আসি। তখনো দুইজন জীবিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জুমার নামাজের সময় হওয়ায় বড়তাকিয়া রেল স্টেশনে তেমন মানুষজন ছিলেন না। আমি পরিচিত এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে ফোন দেই। এর মধ্যে স্টেশনের ফরহাদ, ইরান, মিরাজ, ইমন, রিপন, ইমনসহ আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় আহত দুই জনকে স্টেশনে নিয়ে রিকশার মাধ্যমে মিরসরাই সদরের সেবা আধুনিক হাসপাতালে পাঠাই।
মোস্তফা বলেছেন, ট্রেনের এক যাত্রী উদ্ধার কাজে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছিলেন। পরে তিনি সেন্সলেস হয়ে পড়েন। আরও কয়েকজন ট্রেনের যাত্রী আমাদের সাহায্য করেছেন। অধিকাংশ মানুষ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন। অনুরোধ করার পরও কেউ এগিয়ে আসেননি।
তিনি বলেন, স্মৃতিগুলো আর নিতে পারছি না। কতটা ভয়াবহ না দেখলে বোঝা মুশকিল। টুরিস্ট স্পট, রেলক্রসিংসহ সব পাবলিক স্পটের নিরাপত্তায় আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত আমাদের। প্রতিটা ক্রসিংয়ে যাতে দক্ষ গেটম্যান থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড