মিজানুর রহমান, টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। বর্তমানে হাসপাতালে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোরের সকল ওয়ার্ড পরিদর্শন করে দেখা যায়- শুধু ডেঙ্গু জ্বরের রোগী আর রোগী। হাসপাতালের নির্দিষ্ট করা সিট বুকিং হওয়ার পর অবশিষ্ট কোনো সিট না থাকায় হাসপাতালের ফ্লোরে রোগীরা শুয়ে আছেন।
ফলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ডেঙ্গু জ্বরের কোনো রোগী বিগত দুই যোগে ও দেখা যায়নি। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশের পর এই রোগসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ টেকনাফ উখিয়া উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শিশুসহ ৮০/৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এলাকার সচেতন লোকজন জানান, বর্ষা আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে এই রোগ বাতাসের মতো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২/৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী এরই মধ্যে মারা গেছেন। ইদানীং আরও অনেক ডেঙ্গু জ্বরের রোগী মৃত্যুর পদযাত্রী হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে গন সচেতনতা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটুচন্দ্র শীলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। জনসচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে মাইকিং করার জন্য ইউনিয়ন, পৌরসভায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমার হাসপাতালের চিকিৎসকগণ সার্বক্ষণিক ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বর্ষায় এর প্রকোপ বাড়ে। এ সময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে।
সম্পাদক: মো. তাজবীর হোসাইন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড