আনোয়ার পারভেজ, নাটোর
নাটোরের নলডাঙ্গার আলোচিত শাহাদত হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শাহজাহান আলী ওরফে সোহরাব হোসেন স্বপন ১৪ বছরের জেল থেকে বাঁচতে ৩০ বছর আত্মগোপন থাকার পর অবশেষে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন।
শাহজাহান আলীকে শনিবার ভোরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে আটক করে র্যার নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। শনিবার দুপুরে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ বিষয়টি জানান র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর হাসান মাহমুদ।
র্যাব নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, ১৯৯২ সালের ১৭ মে জেলার নলডাঙ্গার বারনই নদীতে গোসল করার সময় নারী ঘটিত একটি বিষয়ে বিরোধের জের ধরে শাহাদত হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে শাহজাহান। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
শাহাদত হোসেন তৎকালীন নাটোর সদর বর্তমানে নলডাঙ্গা উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত সমজান আলীর ছেলে ও শাহজাহান আলী একই উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে পরের দিন নাটোর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এই মামলায় শুনানী ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে তিন বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৯ মে আদালত অভিযুক্ত শাহজাহান আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় শাহজাহান আলী। এরপর সে পরিচয় গোপন করে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী পৌর শহরের পূর্ব কাটাবাড়ী এলাকায় “সোহরাব হোসেন স্বপন” নামে বসবাস করে আসছিল। এছাড়া তার আদি নিবাস রংপুর বলে সকলকে জানাতো। সে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন কাজকর্ম করলেও গত ১০ বছর ধরে গাজীপুরে গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করছে।
এছাড়া দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে অবস্থানকালে সে তার নিজ নাম শাহজাহান এর পরিবর্তে “সোহরাব হোসেন স্বপন ” নামে একটি ভ‚য়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরী করে। সে দিনাজপুর ও ঢাকায় অবস্থান করলেও গোপনে নিজ এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। পরে এক পর্যায়ে শনিবার ভোরে দিনাজপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক: মো. তাজবীর হোসাইন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড