কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা):
পূর্নিমার জোয়ারের প্রভাবে পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তেতুল বাড়িয়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে ৮ গ্রামসহ নদী তীরবর্তী অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির নীচে তলিয়ে গেছে আউশের ধান ও আমনের বীজতলা। ভেসে গেছে অর্ধ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দুর্ভোগে পরেছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, পূর্ণিমার জোঁয়ারের প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪৩ সেন্টিমিটার বেশী পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে তেতুলবাড়িয়া, গোরাপাড়া, খারাকান্দা, সনবুনিয়া, ফুলুপাড় ও নলবুনিয়া সাইক্লোন সেল্টারসহ ৮ গ্রাম চার দিন ধরে প্রতিদিন দুই বার করে জোয়ারের পানিতে ভাসছে।
পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকার সজিব বলেন, পানির প্রভাবে রান্না ঘরের সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় ঠিকমত খাওয়া হয়নি। অনেক মূল্যবান জিনিসের ক্ষতি হয়েছে। অনেক জেলের জাল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে নানা ধরণের রোগের দেখা দিতে পারে। এজন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ আশা করছি।
এছাড়া উপকুলীয় অর্ধশতাধিক গ্রাম চার দিন ধরে প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাইরের বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী তলিয়ে গেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পরেছে এ উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। জোয়ারে পানিতে একাকার হয়ে মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। পানিতে নদী তীরবর্তী মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে আউশের ধান ক্ষেত ও আমনের বীজতলা। দ্রুত পানি না কমলে আউশ ধান ও আমনের বীজতলা পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে আমতলীর উপজেলার ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরীঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, আমুয়ার চর,পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকা, আঙ্গুলকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়াসহ আরো অনেক নিন্মাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিতে রয়েছে বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম ঘটখালী, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়া এলাকার পায়রা সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ। গত চার দিন ধরে পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমতলীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহতে হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ না থাকায় গাজীপুর বন্দর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন দেওয়ান।
আমতলী উপজেলার গেজ পাঠক (পানি মাপক) মো.আবুল কালাম আজাদ জানান, পায়রা নদীর বিপদ সীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, যে সকল জায়গায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে সেগুলো সংস্কার এবং তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাঁধ দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক: মো. তাজবীর হোসাইন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড