রফিকুল ইসলাম রফিক,গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বড়দহ সেতুসহ আশপাশ নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। এরই মধ্যে কয়েকটি পরিবার নদী ভাঙনে হারিয়েছে ভিটামাটি। বড়দহ সেতু ঘেঁষে এমন রমরমা বালুর ব্যবসা চললেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩০ জুন) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের করোতায়া নদীর ওপর বড়দহ সেতু। সেই সেতুর পূর্ব দিক থেকে বালু উত্তোলনকারী ব্যবসায়ীরা ড্রেজার মেশিন নদীতে বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এসব বালু ট্রাক্টর ও মিনি ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ওই এলাকার গ্রামীন সড়কগুলোতে উচুনিচু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরর্বতী বসত ভিটা, বিভিন্ন ফসলের আবাদি জমি, বড়দহ সেতু, নাওভাঙ্গা, নাওভাঙ্গা দক্ষিণপাড়া, রাখাল বুরুজ মিয়াপাড়া, কাজলাসহ হুমকির মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে প্রশাসনিকভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছিল। এঘটনায় বালু ব্যবসায়ীদের নামে মামলাও হয়েছে। কিন্তু তার কিছুদিন পর আবারও নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে চক্রটি। আশেপাশে কয়েকটি বাড়ি নদীতে ভেঙে গেলেও প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের ভয়ে কোন প্রতিকার করতে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে ড্রেজার মেশিনের মালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগি বলেন, নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছে। অনেক আবাদি জমি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা অসহায় মানুষ। আমাদের কথা কে শোনে! কিছু বললে রাস্তায় মারপিট করতে পারে। তাই কিছু বলি না। তাদের অভিযোগ, সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কত প্রশাসনের লোক যায়। অথচ সেতুর পাশেই দিনরাত ড্রেজার চলছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
বড়দহ সেতুর পাশ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তুহিন হোসন প্রথমবার তিনি ব্যস্ত থাকায় ফেনটি কেটে দেন। দ্বিতীয়বার ফোন দিলে তিন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন "নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। উপজেলার সবকটি বালুর পয়েন্টে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বড়দহ সেতুর পাশে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।"
সম্পাদক: মো. তাজবীর হোসাইন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড