ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপির নেতা নির্বাচন

যশোরের ঝিকরগাছায় ব্যালটের মাধ্যেমে ৪নং গদখালী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে রবিবার (১৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

যেখানে সভাপতি পদে তবিবর রহমান ও রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পদে অহেদুজ্জামান লিটু ও তরিকুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কাজী আখিজুর রহমান পলাশ ও ওলিয়ার রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ৭টি ওয়ার্ডের ৩শত ৫৭জন কাউন্সিলের মধ্যে ৩শত ৩৪জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনি ফলাফলে সভাপতি পদে তবিবর রহমান ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন রফিকুল ইসলাম ১১৯ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে অহেদুজ্জামান লিটু ১৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তরিকুল ইসলাম ১৪৭ ভোট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কাজী আখিজুর রহমান পলাশ ১৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ওরিয়ার রহমান ১২৬ ভোট।

শান্তিপূর্ণ এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দুপুর ১২টায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আসেন যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী, কাউন্সিলরদের স্বত:স্ফুর্ত উপস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ দেখে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন- যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য আ্যড. মোহাম্মদ ইসহক ও মিজানুর রহমান খান।

ভোট গননা শেষে বিকাল ৫টায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী আযম ও হাজী আনিসুর রহমান মুকুল।

এছাড়া দিনভর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপিরর আহবায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, যুগ্ম-আহবায়ক খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সরদার শহিদুল ইসলাম, মুরাদুন্নবী মুরাদ, ইমরান সামাদ নিপুন ও আশফাকুজ্জামান খান রনিসহ নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনে স্বচ্ছ ৩টি ব্যালেট বাক্স ও ৫টি বুথ (গোপন কক্ষ) স্থাপন করা হয়। নবনির্বাচিত ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মিলে আগামী ৩দিনের মধ্যে ইউনিয়নের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন।

ওডি/কেএইচআর