তন্ময় কুমার সাহা, রায়পুরা (নরসিংদী)
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চরমধুয়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন গ্রাম রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে হঠাৎ ওই ইউনিয়নের বীর চরমধুয়া গ্রামের ১’শ মিটার বাঁধ ভেঙে ঈদগাঁর জমিসহ ছয়বিঘা জমি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে।
ফলে হুমকিতে রয়েছে বাঁধ সংলগ্ন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, ঈদগাঁ ও মসজিদসহ কয়েক শতাধিক পরিবার। পরে ভাঙন রোধে মঙ্গলবার ও বুধবার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শ্রমিকরা সেখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে।
জানা গেছে, নরসিংদীর নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নে গত বছর ১৭০০ মিটার গ্রাম রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়। এ প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেড বাস্তাবায়ন করছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে নির্মাণাধীন বাঁধের ১’শ মিটারের নিচের অংশের জিও ব্যাগ ও ব্লক সরে গিয়ে বাঁধ ও একটি ঈদগাঁর জমিসহ ছয়বিঘা জমি মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের দেড়’শ ফুট দূরত্বে রয়েছে বীর চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীর চরমধুয়া হাফেজিয়া মাদ্ররাসা, মসজিদ ও ঈদগাঁ ও প্রায় ১’শ এর অধিক পরিবার। ভাঙনের কারণে হুমকিতে রয়েছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলো। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শ্রমিকরা গত দুইদিন যাবত ভাঙন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকাতে কাজ করছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র শংকর জানান, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এখানকার কাজ চলমান রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও কিন্তু অংশে ভাঙন রোধে জিও বেগ ফেলা হচ্ছে।
বীর চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হাসান জানান, স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। গতকালের ভাঙনে স্কুলটি ঝুঁকিতে আছে। ভাঙন রোধে সেনাবাহিনীর লোকেরা কাজ করছে। বীর চরমধুয়া হাফেজিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল কেফায়াতুল্লাহ জানান, নির্মাণাধীন বাঁধটি থেকে মাদরাসার দূরত্ব মাত্র ৫০ ফুট। ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে মাদরাসাটি। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্ববান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অজ্ঞাত যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে ভাঙা স্থানে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে কাজ করছে। আর ভাঙনের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের তালিকা চেয়ারম্যান করতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদেরকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায় সেটি আমরা দেখবো। এছাড়া যদি নদীতে কারো ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায় তাদেরকে সরকারের মাধ্যমে ঘর করে দেওয়া কিংবা অন্য কোন সুযোগ থাকলে আমরা সেটি বিবেচনা করবো।
ওডি/এমকেএইচ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড