মো. কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র বিগত দুই বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের এক্স-রে করাতে হচ্ছে বাইরের বেসরকারি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী হাসপাতালটি নির্মিত হয় ১৯৬৫ সালে। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে ৩১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ রোগী চিকিৎসা নেয়। হাসপাতালটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে হওয়ায় বেশির ভাগ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা ভর্তি হয়। তাদের এক্স-রের প্রয়োজন হয় বেশি। কিন্তু হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয়ে আছে বিগত দুই বছর ধরে।
এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে এক্স-রে মেশিনটি একবার অকেজো হয়ে সেবা বন্ধ ছিল প্রায় দেড় বছর। পরবর্তীতে মেশিনটি মেরামত করে সেবা চালু করলেও দোহাজারী হাসপাতালে রেডিওগ্রাফারের পোস্ট না থাকায় ওই সময় সপ্তাহে দুই দিন সেবা দেওয়া হয়েছিল।
অমল চন্দ্র রাজবংশী নামে একজন রেডিওগ্রাফার চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি দোহাজারী হাসপাতালেও এক্স-রে সেবা দিতেন বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে অমল চন্দ্র রাজবংশী বদলী হওয়ার পর বিগত দুই বছর ধরে দোহাজারী হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্রটির সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে যন্ত্র চালু না থাকায় গরিব রোগীরা বিপাকে পড়ছে। কারণ, হাসপাতালের এক্স-রে করাতে কোনো টাকা লাগত না। এখন বাইরে থেকে এক্স-রে করতে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে ।
চিকিৎসা নিতে আসা পূর্ব দোহাজারী এলাকার আব্দুল জলিল (৫৫) বলেন, কোমরে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ডাক্তার বলেছেন এক্স-রে করাতে হবে। কিন্তু হাতে টাকা নেই। বুঝতে পারছি না কি করব।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বৈলতলী এলাকার রোকেয়া বেগম (৪০) এর স্বামী আব্দুল আলম জানান, মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার স্ত্রীর পায়ে আঘাত পেয়েছে। হাড় ভেঙে গিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে এক্স-রে করার জন্য এ হাসপাতাল থেকে আবার পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে নিতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম বলেন, আমি এই হাসপাতালে যোগদানের পর এক্স-রে যন্ত্রটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। তবে যন্ত্রটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কিছু পার্টস অকেজো হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দুইজন মেকানিক এনে এক্স-রে মেশিনটা দেখিয়েছি। কিছু নতুন পার্টস লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এক্স-রে মেশিনটি পুনরায় চালু করতে পারব। রেডিওগ্রাফারের পোস্ট না থাকায় আমাদের বিদ্যমান জনবল থেকে দুই জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আপাতত রোগীদের সেবা দেওয়া অব্যাহত থাকবে।
ওডি/ইমা
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড