নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) আনুমানিক বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী শহরটির শুম্ভুপুর গ্রামের মো. জামাল মিয়ার মেয়ে এবং কমলপুর হাজী জহির উদ্দিন হাই স্কুলের দশম শ্রেণিতে পরতো। ঘটনার দিন রাতেই ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন বখাটে যুবক উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
লিখিত অভিযোগে জানানো হয়, অপহৃত ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত পথিমধ্যে উত্যক্ত করত শহরের ভৈরবপুর স্টেডিয়াম পাড়ার ছাত্তার মিয়ার ছেলে ছাব্বির (২২)। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশালীন মন্তব্য করে ওই ছাত্রীকে বিব্রত করা হতো। উত্যক্তের ঘটনায় ছাব্বিরের পরিবারকে নালিশ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। বরং উল্টো নাজেহাল হতে হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন : টিপু হত্যার পরিকল্পনা : ওমান থেকে দেশে আনা হলো মুসাকে
মূলত এসব ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে স্কুলে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে অভিযুক্ত বখাটে যুবক ছাব্বিরের নেতৃত্বে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে অন্যত্র তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
অভিযুক্ত ছাব্বিরের সহযোগীদের ছিলেন- শুম্ভপুর পূর্বপাড়ার আবুল মিয়ার ছেলে শহিদুল্লাহ (২৫), ভৈরবপুর স্টেডিয়াম পাড়ার মজিবুর মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (২৭) ও হারুন মিয়ার ছেলে ফাহিম (১৮)। এছাড়াও অভিযুক্ত ছাব্বিরের বাবা ছাত্তার মিয়াকেও ২নং অভিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন : শীর্ষ ঋণখেলাপী আরএসআরএমের এমডিকে আটক
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার এসআই আব্দুল করিম মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েই ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে এবং মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে লোকেশন নিশ্চিত হয়ে খুব দ্রুত সময়ে উদ্ধার করা হবে।
ওডি/কেএইচআর
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড