হারুন আনসারী, ফরিদপুর
ফরিদপুরের ভাঙ্গার তুজারপুর ইউনিয়নের জানদি গ্রামে গত রমজানের এক রাতে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গ্রামবাসী।
শনিবার (২১ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের নিকট তারা প্রায় আধঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এ সময় দুইপাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পৌঁছে আসামিদের গ্রেফতারে আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জানদি রেললাইনের উপর একই দাবিতে তারা মানববন্ধন করেন। এতে নিহতদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গ্রামবাসী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে মামলার বাদী রুবেল বলেন, এলাকায় একের পর এক অপকর্ম, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় সোলায়মান ও কামরুলকে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। বরং হত্যা মামলার কাউন্টার হিসেবে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ নিহতদের স্বজন ও লোকজনদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে।
মানববন্ধনে নিহত সোলায়মানের মা নিলুফা বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকে মনিরে আমি বড় করছি। ওর বাবা ১০ বছর আগে মারা গেছে। নাতিডারে দেখবে কে? তিনি বলেন, আমি শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই।
স্থানীয় গ্রাম্য মাতুব্বর শফি মাতুব্বর (৫৬) বলেন, হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে না, অথচ পুলিশ কাউন্টার মামলায় নিরীহদের গ্রেফতার করছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাদের রেখে গেছে নিহতরা। তাদের দিকে যেন নজর দেয়া হয়। এসব শিশুর কথা ভেবেও যেন আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
অবসরপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ রফিকুল ইসলাম (৬৮), গ্রামের মুরুব্বি করিম মোল্যা (৭১) সহ আরও অন্য আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেন। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও ফাঁসি দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি সেলিম বলেন, মামলা গ্রহণের পরপরই আমরা আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা করি। তাই আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে না- এ অভিযোগ সঠিক নয়।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত হত্যা মামলার একজন আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আদালতে ওই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আরও পড়ুন : কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে ট্রেন
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন সোলায়মান শরীফ ও কামরুল মাতুব্বর নামে দুই ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হন আমিনুর নামে আরেক ব্যক্তি। এ হত্যাকাণ্ডের পর ১৯ জনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন রুবেল মাতুব্বর।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার সোলায়মান শরীফ জানদী গ্রামের মৃত মতিউর রহমান শরীফের ছেলে এবং কামরুল মাতুব্বর একই গ্রামের কালাম মাতুব্বরের ছেলে। কামরুলের ৮ বছর ও ৪ বছর বয়সী দুটি মেয়ে এবং সোলায়মানের ১৬ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
ওডি/এমকেএইচ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড