ইয়ার হোসেন সোহান ঝিকরগাছা (যশোর)
যশোরের ঝিকরগাছার সোনাকুড় গ্রামের গৃহবধূ সখি বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয় ঘাতক প্রেমিক মিজানুর রহমান। সে মঙ্গলবার (১৭ মে) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, আর্থিক প্রতারণা ও হুমকি-ধামকিতে অতিষ্ঠ হয়ে এই হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে। ঘাতক মিজানুর রহমান সোনাকুড় গ্রামের মোঃ ওহাব আলী সর্দারের ছেলে।
সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত। তিনি জানান, ধৃত একমাত্র আসামি মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হলে সে যশোরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ সময় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামির দেওয়া জবানবন্দি ফৌজদারি দণ্ডবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন।
তিনি আরও জানান, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি প্রদানের পর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আসামি মিজানুর রহমানকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে নিহত সখি বেগমের লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন হিসাবে সোমবার মিজানুর রহমানকে তার নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয় বলে জানান তিনি।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ও আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ভুক্তভোগী সখিনা খাতুন ওরফে সখির সাথে বিগত ৫ বছর আগে আসামি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে, বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হতো। এক পর্যায়ে গত ১৫ মে মাগরিবের নামাজের আগে ভুক্তভোগী সখি আসামি মিজানুর রহমানকে ফোন করে বাদলের তালসারি মোড়ে আসতে বলে। পরে সেখানে সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী ও আসামির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে মিজানুর রহমান ভুক্তভোগীকে আব্দুস সাত্তারের মাল্টা বাগানে নিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে গলাটিপে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মুখের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চির নিদ্রায় শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. করিম
উল্লেখ্য, উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামের নিয়াম আলীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী সখি বেগমের সাথে দুই সন্তানের জনক প্রবাসী মিজানুর রহমানের প্রেমের সম্পর্কটি অনৈতিক সম্পর্কের পর্যায়ে গড়ায়। পরে গত রবিবার (১৫মে) থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ সন্দেহভাজন মিজানুর রহমানকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধারে সফলতা দেখাল পুলিশ।
ওডি/এমকেএইচ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড