মো. আকাশ, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
আধুনিকতার যুগে দরজা-জানালা ছাড়া সেলুন সচরাচর দেখা যায় না। তবে আগের দিনে এইসব সেলুন সহজলভ্য ছিল। এখনো গ্রামে দেখা গেলেও শহরে নেই বললেই চলে।
দরজা-জানালাবিহীন এমনই সেলুনের দেখা মেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। সেলুনটি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে অবস্থিত। সেলুনটিতে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। রয়েছে লক্কর ঝক্কর একটি চেয়ার, একটি আয়নাসহ চুল কাটার ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম। আধুনিক এ যুগে নানা ধরনের ডেকোরেশনের সেলুনের দেখা মিললেও ঐতিহাসিক এমন সেলুনের দেখা খুব কম মিলে।
মোহাম্মদ আলী, ৫০ বছর বয়স তার। বসবাস করেন সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায়। পেশায় তিনি একজন নাপিত। দীর্ঘ ২০ বছর যাবত তিনি নাপিতের পেশায় জড়িত। সেই ২০ বছর ধরে একইভাবে মানুষের চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সেলুনে চুল কাটাতে আসা রাকিব নামের একজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত মোহাম্মদ আলী কাকার কাছে চুল কাটি, তিনি অনেক যত্ন করে কাজ করে থাকেন। আমাদের এখানে অনেক সেলুন আছে, তবে আমি উনার কাছেই চুল কেটে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
সেলুনের পাশের দোকানদার আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি মোহাম্মদ আলী ভাইয়ের কাছে অনেক দিন ধরে চুল কাটি। তিনি খুব ভালো কাজ করেন। আমাদের এখানকার বেশিরভাগ মানুষ এখনো তার হাতেই চুল কাটে।
দরজা-জানালাবিহীন সেলুনের কারিগর মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে এখানে এভাবেই মানুষের চুল কাটি। এখন অনেক আধুনিক সেলুন হয়ে গেছে, তাও আল্লাহর রহমতে আমি ভালোই আছি। এখানকার মানুষ এখনো আমাকে ভালোবেসে আমার হাতে তাদের চুল কাটায়। সড়ক ও জনপদের অনেক স্যার এবং আমার আশেপাশের দোকানদাররা আমার হাতেই চুল কাটে। দিনে ৪-৫শ টাকা ইনকাম হয় তা দিয়ে চলি।
ওডি/মাহমুদ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড