মনিরুজ্জামান মনির, নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বাজার এলাকায় সড়কের উভয় পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজও চলমান। ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরুর দিকে দ্রুত গতিতে এগোলেও বর্তমান চলছে ধীর গতিতে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার বাসিন্দাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার কৈগাড়ী মোড় থেকে নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ পর্যন্ত (বগুড়া-নাটোর) মহাসড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। কৈগাড়ী মোড় থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ, ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন অফিস এ সড়কের পাশে অবস্থিত। নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার বাসিন্দারা যাতায়াত ব্যবস্থায় চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০২১ সালে নন্দীগ্রাম বাসট্যান্ড এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হলে এ কাজে বাধা দেয় এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, যে ড্রেন নির্মাণ করার কথা বলা হয়েছে তাতে পানি নিষ্কাশনতো দুরের কথা আরও জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে। তাই পরে জনসাধারণের দাবির মুখে ও পৌর মেয়রের প্রচেষ্টায় ৫ ফুট গভীর ও ৪ ফুট প্রশস্ত ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে আশার আলো দেখতে পায় এলাকাবাসী।
শুরুতে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ তোরজোরের সাথে চললেও নির্মাণ কাজ চলে মন্থর গতিতে। অল্পকিছু শ্রমিক দিয়ে এ কাজ চলতে থাকে। এখন বেশ কিছুদিন হলো ওই কাজ বন্ধ হয়ে আছে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ কাজটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
কলেজ পাড়ার বাসিন্দা শুভ মাস্টার বলেন, ড্রেন নির্মাণ কাজে তেমন কোন অগ্রগতি নেই। আমাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রিক্সা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে পাড়ায় ঢোকা যায় না। ভারী কোন জিনিসপত্র বাজার থেকে আনতে হলে খুব বিপদে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
হোটেল ব্যবসায়ী আরব আলী বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই কাদামাটি রাস্তায় চলে আসায় গাড়ি চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। ড্রেনের উপর যে চরাট করে আমরা চলাচল করছি তাতে দোকানের মালামাল ভেতরে আনা ও বের করা খুব কঠিন। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে ব্যবসায়ীরা।
রাস্তার পথচারী আবু হানিফ বলেন, ড্রেন নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করতে না পাড়লে বর্ষায় এ রাস্তায় মানুষ চলাচল করতে পারবে না। আর ড্রেন ঢালাইয়ের রড যে ভাবে বের হয়ে আছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, ড্রেন নির্মাণ কাজটি করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য আমি বার বার ঠিকাদারের লোকজনদের বলছি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিজভী কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ম্যানেজার রাসেল আহম্মেদ বলেন, আমাদের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ড্রেনে পানি জমার কারণে একটু দেরি হচ্ছে। অল্প শ্রমিক দিয়ে কাজ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে যতজন শ্রমিক প্রয়োজন সেখানে ততজন শ্রমিক দেওয়া হচ্ছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, কাজের মেয়াদ এখনও আছে। তবে যেহেতু জনসাধারণের দুর্ভোগ হচ্ছে আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলবো ওই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য।
ওডি/মাহমুদ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড