খলিল উদ্দিন ফরিদ, ভোলা
ভোলার মনপুরায় পারিবারিক কলহের জেরে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ ঘটনায় মেয়ের জামাইয়ের পাশবিক নির্যাতন ও জোর করে মুখে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ ওই গৃহবধূর মা মমতাজ বেগমের। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী নুর হাফেজ পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (১১ মে) সকালে উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর বাবা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কাজী ফাহিমুল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধূর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালে প্রেরণ করে বলে জানান মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ।
নিহত গৃহবধূ হলেন, উপজেলা হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা নুর হাফেজের স্ত্রী ও একই গ্রামের বাসিন্দা মো. ফারুকের মেয়ে রোজিনা বেগম (২৫)। ওই গৃহবধূ খাদিজা (৯), জোবাইদা (৭) ও ইউসুফ (২) নামে তিন সন্তানের জননী।
ওই গৃহবধুর মা মমতাজ বেগম মেয়ের জামাইয়ের পাশবিক নির্যাতন ও জোর করে মুখে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ করে জানান, মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতালে ছেলে ইউসুফের চিকিৎসা শেষে বাবার বাড়ি যায় ওই গৃহবধূ। পরে সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসলে স্বামী নুর হাফেজ ও গৃহবধূ রোজিনা বেগম বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্বামী ওই গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন করে। পরে স্বামী জোর করে ওই গৃহবধূকে চাউলে দেওয়া বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়।
এদিকে ওই গৃহবধূর সাথে স্বামীর প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো ও স্বামী মারধর করতো বলে জানান প্রতিবেশীরা। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস হয়েছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন : এক গোডাউনেই মিলল ৪০ হাজার লিটার সয়াবিন
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কাজী ফাহিমুল হক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
ওডি/এএম
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড