তরিকুল ইসলাম তরুন, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ার আস্তানগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩ মে) রাতে সংঘর্ষে নিহত মতিয়ার মন্ডলের ভাই আশরাফুল বাদী হয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৬৭ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, সংঘর্ষে নিহত রহিম মালিথার ছেলে রফিকুল বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ আনিস মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান পৃথক দুটি মামলার জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতয়েন রাখা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও শোকের মাতমের পাশাপাশি এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরো আস্তানগর গ্রাম পুরুষ শুন্য রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতঙ্কিত রয়েছে এখানকার সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: তিন বস্তা চোলাই মদসহ রবীন্দ্রনাথের ছেলে আটক
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগরে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক ইউপি সদস্য ফজলু মন্ডল গ্রুপের সংঘর্ষে ফজলু মন্ডলের ছোট ভাই কাশেম মন্ডল, ভাতিজা লাল্টু মন্ডল ও মতিয়ার মন্ডল এবং কেরামত উল্লাহ সমর্থিত রহিম মালিথা নিহত হয়। এই ঘটনায় আহত হয় অন্তত আরও ১৫ জন।
ওডি/এমকেএইচ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড