নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের লালদীঘি পাড়ের হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে কয়েক কোটি টাকার মালামাল। দমকল বাহিনীর ১৭টি ইউনিট সোয়া দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর সোমবার (২ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুড়ে যাওয়া মার্কেটটিতে এক হাজার ৩৫টি কাপড়সহ বিভিন্ন নিত্য পণের দোকান ছিল। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মানুষের মার্কেট হিসেবেও পরিচিত ঐতিহ্যবাহী এই হকার্স মার্কেটটি।
রবিবার (১ মে) দিনগত রাত ৩টা ১৮ মিনিটে মার্কেটটিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে একাধিক গলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সিলেট মহানগরের সবগুলোসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জ থেকেও ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। এরপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টানা সোয়া ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের আগুনে মার্কেটের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ব্যবসায়ীদের অনেককেই মার্কেটটির বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায়। তারা নিজেদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন : রাস্তা দখল করে অবৈধ পার্কিং, ইদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা
সিলেট ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মামুন পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সবচেয়ে বড় এ মার্কেটটিটে রাত ৩টা ১৮ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে আমাদের ৯টি ইউনিট কাজ করে। এবার একাধিক গলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর গলিতে আগুন লাগে। মার্কেটের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার কোনো পথ না থাকায় দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে।
এ দিকে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার স্বার্থে প্রয়োজনে মার্কেটের প্রবেশদ্বারের দোকানগুলোকে ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেন তিনি।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সিলেট মহানগর ও আশপাশের ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হকার্স মার্কেটের এক হাজার ৩৫টি দোকানের মধ্যে ২০-২৫টি দোকান এরই মধ্যে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে ১০-১২ দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। যদিও বাকিগুলো আংশিক পুড়েছে। আমরা বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে মার্কেটটি রক্ষা করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন : উপকূলবাসী আজও আঁতকে ওঠেন সেই রাতের দুঃসহ স্মৃতিতে
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। যদিও বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। আর তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
ওডি/কেএইচআর
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড