বেশি ভাড়া আদায়, হানিফ কাউন্টারকে জরিমানা

গাজীপুরের কালিয়াকৈর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই যাত্রীদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। প্রায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে একটি কাউন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বেশকিছু যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী, পরিবহন শ্রমিক-যাত্রী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আর মাত্র দুদিন পরই ইদুল ফিতর। নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। গত দুদিন যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা না গেলেও আজ (শনিবার) সকাল থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের গেইটওয়ে উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়ে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল যাত্রীদের।

সুযোগ বুঝে যাত্রীদের কাছ থেকে দুই-তিনগুণ ভাড়া বেশি আদায় করে নিচ্ছেন পরিবহন কাউন্টার ব্যবসায়ীরা। অথচ ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তাসহ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া যেন না নেওয়া হয়, সেজন্য চন্দ্রা ত্রিমোড়ে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ সর্বক্ষণিক তদারকি টিম রয়েছে। কিন্তু যানবাহনের তুলনায় যাত্রী বেশি থাকার সুযোগে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নেওয়া হচ্ছে।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জামাল হোসেনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা পেয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজ নামের কাউন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া আরও বেশ কিছু কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে আদায় করা অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদেরকে ফেরত দেওয়া হয়ে। এ সময় আরো কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালানো হয়।

ইদে ঘরমুখি যাত্রীদের অভিযোগ, গাড়ি পর্যাপ্ত পরিমানে থাকলেও দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া বেশি না দিলে টিকেট দিচ্ছে না কাউন্টার গুলো। আশপাশে হাইওয়ে পুলিশ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ টাকা পেলেই ঠান্ডা। জানা গেছে কাউন্ডার গুলো থেকে পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয়।

এছাড়াও যাত্রীদের বিভিন্ন গাড়িতে তোলে দিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি টাকা আদায় করছে হাইওয়ে পুলিশ। ফলে একটু কম ভাড়ায় পিকআপে ও ট্রাকে যে যেভাবে পারছে বাড়ি যাচ্ছে। পুলিশের সামনেই যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা করানো হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

হাইওয়ে পুলিশের সামনে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হলেও সালনা-কোনাবাড়ি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ি

আরও পড়ুন: ৬ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. জামাল হোসেন জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। এ সময় সত্যতা পেয়ে একটি কাউন্টারকে ২০হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বেশ কিছু যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা তাদের ফেরত দেওয়া হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

ওডি/এমকেএইচ