• বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান

  মো. আকাশ, নারায়ণগঞ্জ

২৯ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪২
বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান
বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন। ছবি : অধিকার

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে পল্টন থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ অভিযান চালানো হয়।

জানা যায়, ২৫ এপ্রিল পল্টনে জেলা বিএনপির বৈঠক শেষে বের হবার পর কস্তুরি রেস্টুরেন্টের সামনে মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জুয়েল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে জুয়েলের মোবাইলে কল লিস্ট ও তার দেওয়া তথ্যে জেলা ছাত্রদলেরসহ সভাপতি সাগর সিদ্দিকিকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় মামুন মাহমুদের স্ত্রী বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করলে মামলায় জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৭ এপ্রিল তিনদিনের রিমান্ডে আনে। রিমান্ডে জুয়েল গিয়াসউদ্দিনের ছেলে রিফাতের নাম বলেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সে সূত্র ধরে তাকে ধরতেই এ অভিযান বলে জানা যায়।

একাধিক সূত্র জানায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিচ্ছেন জুয়েল। মামুন মাহমুদকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত হিসেবে পুলিশের তদন্তে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছোট ছেলে গোলাম মো. কাউসার ওরফে রিফাতের নাম আসে তদন্তে। রিফাতের হয়ে খুনি ভাড়া করেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফতুল্লার বাসিন্দা মো. হৃদয়। আর হামলাকারী মো. জুয়েল মীরকে মামুন মাহমুদের অফিস ও তার ছবি দেখিয়ে দেয় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাগর সিদ্দিকী।

একাধিক সূত্রে আরও জানা যায়, নাসিকের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী পল্টু কর্মকার সেদিন দুপুর থেকে ঘটনাস্থলের অদূরে মুক্তাঙ্গনে নিজের মাইক্রোবাসে অবস্থান করছিলেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর ইকবাল ও রিফাত গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে জুয়েল স্বীকার করেছেন, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানে তার সঙ্গে হৃদয়ের পরিচয় হয়। কিছুদিন আগে হৃদয় জুয়েলকে জানান, একজনকে মারতে হবে। তাই কিছু লোক ঠিক করে দিতে হবে। জুয়েল নিজেই পারবেন বলে কাজটি নিজে নিয়ে নেন।

ঘটনার আগের দিন হৃদয় ও রিফাত ঢাকা গিয়ে মামুন মাহমুদকে হত্যা করতে জুয়েলকে নির্দেশ দেন। জুয়েল মামুন মাহমুদকে চেনেন না জানালে হৃদয় ও রিফাত জানান, সাগর সিদ্দিকী তাকে মামুনের অফিস ও ছবি দেখিয়ে দেবেন। পরে তাকে মামুন মাহমুদের অফিস ও ছবি দেখিয়ে দেন সাগর সিদ্দিক।

এদিকে অভিযানের খবর টের পেয়ে আগেই সটকে পড়েন গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলে রিফাত। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, এটি লজ্জাজনক ঘটনা। যেহেতু মামলা হয়েছে ও তদন্তনাধীন বিষয় তাই আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পল্টন থানা পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়াসউদ্দিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। তবে বাড়িতে এ সময় তাদের পাওয়া যায়নি।

ওডি/ওএইচ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড