• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফুটপাতে জমে উঠেছে ইদের কেনাকাটা

  নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

২৭ এপ্রিল ২০২২, ২১:৪৩
ফুটপাতে জমে উঠেছে ইদের কেনাকাটা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নতুন পোশাক কিনতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ (ছবি: অধিকার)

আর মাত্র কয়েক দিন পরই ইদ। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন বিপণি বিতানগুলোতে পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। তারই পাশাপাশি ঈদের ছোঁয়া লেগেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতা। এসব ফুটপাতের দোকানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা।

ভৈরব উপজেলা জেলার মর্যাদা সম্পূর্ণ একটি বন্দরনগরী উপজেলা। ভৈরব নদী বন্দর এলাকা। এখানে দেশের দ্বিতীয় মৎস্য আড়ত রয়েছে। রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি পাদুকা শিল্প।যেখানে ছোট বড় প্রায় ১০ হাজার কারখানা রয়েছে আর এসব কারখানায় প্রায় ৬০ হাজার কারিগর কর্মরত।

এছাড়া রয়েছে মশার কয়েল উৎপাদনের কয়েকশ কারখানা।তাদের অধিকাংশই ভৈরব পৌর শহরের বিভিন্ন বিপনি বিতান ছাড়াও ফুটপাতের দোকান থেকে কেনাকাটা করে থাকেন। বড় বড় অভিজাত বিপণি বিতানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জমে উঠেছে ফুটপাতে ভাসমান ইদ বাজার।

সরেজমিন ভৈরব বাজারের বিভিন্ন ফুটপাতে বসেছে অস্থায়ী দোকান, দেখা যায় ক্রেতার ভিড়। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী। ফুটপাতে অস্থায়ীভাবে টেবিল বসিয়ে পণ্যের পসার নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে তিন চাকার ভ্যানগাড়ি। এখন ফুটপাতের পাশে ভ্যান গাড়িতেও ইদের বাজারে কেনাকাটা চলছে পুরোদমে। এছাড়া কম দামে কেনা যায় বলে ভৈরব ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকেও ফুটপাতের দোকানে এসে ভিড় করছেন অনেকে।

ভৈরব বাজার পৌরসভার সামনে এলাকায় ফুটপাতে ভ্যান গাড়িতে পাঞ্জাবি ও পাজাম দোকান সাজিয়ে বেচাকেনা করছেন আব্দুল রহমান নামের এক দোকানি। তিনি নরসিংদী জেলার বাবুরহাট থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভ্যানগাড়ির দোকানে বেচাকেনা খুব ভালো। তাছাড়া ফুটপাতের এই ইদ বাজারে নতুন-পুরোনো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি জিনিসও পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেদের জামা, মেয়েদের ফ্রক, জুতা, ঘড়ি, লুঙ্গি, ওড়না থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবও পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

মো.নজরুল ইসলাম নামের ফুটপাতের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘করোনাকালে ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সকল পুঁজি লোকসান দিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল, তবে এখন আবার লোকসান কাটিয়ে লাভবান হওয়ার আশা করছি।’

পাদুকা কারখানার এক মহিলা শ্রমিক হালিমা কারখানা থেকে ছুটি নিয়ে আসেন কেনা কাটার জন্য তিনি বলেন, ‘শুধু ইদেই নয়, সবসময়ই ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করি। কেননা বড় বিপণি বিতানে যা পাওয়া যায়, ফুটপাতের দোকানেও এখন তা পাওয়া যাচ্ছে।’

তাসলিমা আক্তার নামের একজন গৃহিণী ক্রেতা বলেন, ‘এখান থেকে সবসময় আমি কেনাকাটা করি। এই ফুটপাতে কম দামে জামা-কাপড় পাওয়া যায়। তাই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ইদের কেনাকাটা করতে এসেছি।’

বাজারের রাজ কাচারি সড়কে ইদের অস্থায়ী বাজার বসিয়েছেন জসিম নামে এক ব্যবসায়ী তিনি বলেন, আমাদের ফুটপাত বাজারের সব রকম জামা কাপড় পাওয়া যায়। এখানে সকল পেশার লোকের পছন্দমত পোশাক কিনতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বড় বড় শপিংমলে যা আছে আমাদের কাছেও তা আছে তবে আমাদের কাছে দামে সস্থা থাকায় সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। আর আমাদেরও তেমন বড় রকমের কোন খরচ না থাকাই ভালই পোষে।

হকার্স ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, ফুটপাতের দোকানি ও আমরা হকার্স মার্কেটের দোকান একই বলা চলে কারণ তারা আমাদের দোকানের সামনে এবং আমাদেরই ভাই-ভাতিজারা দোকানদারি করেন।

আরও পড়ুন: ‘কৃষি জমিতে শিল্প কারখানা করতে দেওয়া হবে না’

তিনি আরও বলেন, গত বছর করোনার কারণে তেমন বেচাকেনা হয়নি। এবার তারা এসব কেনাবেচা করতে পারছে। এ কারণ দুর দূরান্ত থেকেও মানুষ আসতে পারছে। এবার তারা তাদের গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আশাবাদী।

ওডি/এমকেএইচ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড