খলিল উদ্দিন ফরিদ, ভোলা
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের জংলারখাল সংলগ্ন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত তৃতীয় পর্যায়ের ২১০টি ঘরের মধ্যে ১১০টি ঘর। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় ধাপে নির্মিত ঘরগুলো উদ্বোধন করবেন। জমিসহ আধা-পাকা ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলো।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে আশ্রয় পাওয়া পরিবারগুলো জানান, তারা কোনোদিন ভাবেননি মাথা গোঁজার মতো নিজেদের একটি ঠিকানা হবে। আজ তারা অসহায় পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকে, আর তাদের কোনো কষ্ট নেই। আগে খুব কষ্টে ছিলেন। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে খুব কষ্ট করেছেন। এখন খুব আরামে থাকেন। ঘর বরাদ্দ পেয়ে তারা খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা। তারা নামাজ পড়ে দোয়া করেন শেখ হাসিনার জন্য। তাদের বিনা পয়সায় সুন্দর ঘর করে দিছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন তাদের কোনো চিন্তা নাই।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুব খুশি ভ্যানগাড়িচালক আব্দুর রহমান। অভাবের সংসার। ভ্যানগাড়ি চালিয়ে সংসার চালান। তার ৩ ছেলে। কোনো জায়গা জমি নেই। আগে অন্যের বাড়িতে থাকতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুব খুশি।
মা-বাবা ও স্বামী নেই প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাওয়া শিল্পী বেগমের। স্বামীপরিত্যক্তা শিল্পী বেগম। ২ ছেলে নিয়ে থাকতেন অন্যের বাড়িতে, ঝুপড়ি ঘর উঠিয়ে। ঘর বরাদ্দ পেয়ে চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়। জানতে চাইলে দুহাত উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে বলেন, স্বামী অনেক আগে আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। ছোট ২টি ছেলে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছি ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে। টাকাপয়সার অভাবে ঘর করতে পারিনি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকছি আর কষ্ট হবে না।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভোলার মনপুরায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ২ শত ৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হয়েছে আধা-পাকা টিনের ঘর। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাসজমিতে এসব ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ঘরগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার (ঘর) পেয়ে বসবাস করছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মাঝে বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরগুলোতে বসবাস করছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মানুষ। ঘর পেয়ে খুব খুশি উপকারভোগীরা। তৃতীয় ধাপেও নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ মিয়া জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতাংশ খাস জমি দিয়ে ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে মোট ২১০টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ১১০টি ঘর সম্পূর্ণ করা হয়েছে। নির্মিত ১১০টি ঘর এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। নির্মিত ঘরগুলো বাথরুম, গোসলখানা, বারান্দাসহ ২ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা-পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার বিকল্প নেই
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা বলেন, তৃতীয় ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২১০টি ঘরের মধ্যে ১১০টি ঘর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ঘরগুলো উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল নির্মিত ঘরগুলো উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে আমরা উপকারভোগীদের জমির কবুলত রেজিঃসহ নির্মিত ঘরগুলো হস্তান্তর করব।
ওডি/এমকেএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড