মোঃ শাকিল শেখ, আশুলিয়া (ঢাকা)
সাভারের আশুলিয়ায় হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কটি হাঁটুপানিতে ডুবে গেছে। এতে করে ব্যস্ততম এই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম জনদুর্ভোগে পড়েছেন।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোররাত থেকে টানা বর্ষণে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে সকাল থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এই মহাসড়কের বিশেষ করে বাইপাইল, ইউনিক, শিমুলতলা ও জামগড়া এলাকায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
এই যানজটে আটকে গাড়িগুলোকে ধীরগতিতে চলতে দেখা যায়। মহাসড়কের পাশে বেশ কিছু দোকানেও পানি উঠে যায়। শুধু তাই না, আশেপাশের কয়েকটি আবাসিক এলাকাতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এই মহাসড়কে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়ক এমন করুণ দশায় পরিণত হয়েছে। বিষয়টি দীর্ঘদিনের সমস্যা। দাবি জানিয়েও কোনো সমাধান হচ্ছে না বলে জানান দুর্ভোগে পড়া স্থানীয় মানুষ।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কখনোই এই সড়কে শান্তিতে চলাচল করতে পারি না। বৃষ্টি আসলে তলিয়ে যায়, আর বৃষ্টির পানি শুকিয়ে গেলে সৃষ্টি হয় খানাখন্দ। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এই মহাসড়কের অংশটি এখন আমাদের সবার জন্য মরণফাঁদ! এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে, পানি ঢুকে যানবাহন বিকল হচ্ছে। আবার সতর্ক হয়ে অনেক ধীর গতিতে যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
জলাবদ্ধতা ও সৃষ্ট যানজটের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা জেলা (উত্তর) ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন, হঠাৎ টানা বর্ষণের কারণে সড়কে হাঁটুর সমপরিমাণ পানি জমে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আবার ইদ উপলক্ষ্যে মহাসড়কে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, এছাড়া যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী উঠা-নামা করাই এই যানজট সৃষ্টির মূল কারণ। তবে যানজট নিরসনের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মারুফ হাসান বলেন, পানি নিষ্কাশনে কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ। তবে সড়ক ও জনপথের পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন ব্যবস্থা রয়েছে, তার মধ্যে অবৈধভাবে আবাসিক ও ফ্যাক্টরি ড্রেনলাইন যুক্ত করেছে অসাধু চক্র। যার ফলে ড্রেনের পানি উপচে পড়ে, যেটি সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মূল কারণ। তবে বিষয়গুলো ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরা পানি নিষ্কাশনে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।
এদিকে স্থানীয় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ আহাম্মদ মাস্টার ভুইঁয়া বলেন, ‘মহাসড়কের এই স্থানে পানি জমায় সবাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় অনেকেই আমার কাছে আসেন। মহাসড়কের দায়িত্ব যে পরিষদের নয় সওজের— তা জানিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। তারপরও কেউ কেউ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।’
আরও পড়ুন : মাদক সেবনের অপরাধে কারাদণ্ড
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে সব দফতরকে নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে স্থায়ী সমাধান হয়। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওডি/এমকেএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড