তৌফিকুর রহমান মাসুদ, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার ১১ বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেছেন ধর্ষণ চেষ্টাকারী নজরুল ইসলাম। নজরুল সম্পর্কে ওই মেয়ের খালু।
জানা যায়, গত ৫ মার্চ (শনিবার) ছয়গাঁও ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার সংলগ্ন ধর্ষণ চেষ্টাকারী নজরুলের শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতার মা পরিবারের ঘানি টানতে গিয়ে কাজ করেন ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানে। প্রতিদিনের মত তিনি মেয়েকে তার বোন রুমার কাছে রেখে কাজে চলে যান। কিন্তু এসে শুনেন নজরুল ইসলাম তার ১১ বছরের মেয়ের সাথে অপকর্ম করার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে নজরুল ইসলাম নির্যাতিতার মাসহ সবাইকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
নির্যাতিতার মায়ের মুঠোফোনে তিনি জানান, আমি কী করব ভাই! গরিব মানুষ। আমার নিজের আপন বোন জামাই নজরুল এই কাণ্ড করবে, তা আমি বুঝতে পারিনি। বিষয়টি থানা পুলিশকে না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র কেন গিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, এলাকার মানুষ জোর করে আমার মেয়েকে দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিয়ো নিয়েছে। এলাকার ঐ সমস্ত মানুষের নামে কেন থানায় অভিযোগ করেননি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বোন রুমা (নজরুলের স্ত্রী) আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে গাজীপুরে একটি বাসায় রেখে গিয়েছে। আমি আমার মেয়েসহ মরব এখন! তাছাড়া কিছু করার নেই।
তিনি আরও বলেন, ভাই আমাকে ব্লাকমেইল করে, আমি মা চাই না মেয়ে চাই জানতে চায়! আমি কী করব?
এ বিষয়ে এলাকার জলিল সরদার নামে একজন জানান, ঘটনা সত্য। নজরুল সচিবালয়ে চাকরি করে বলে পরিচয় দেয়। তার ভয়ে মেয়ের মা মেয়েকে নিয়ে উধাও। আর নজরুল ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছে।
এবিষয়ে জানার জন্য নজরুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কক্সবাজার সচিবের সাথে মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। পরবর্তীতে ফোন করে বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভালো না। তার পরিবারকে জমি জায়গা নিয়ে ঠকিয়েছে। তিনি স্ব-উদ্যোগে জমি ভাগ করে দেওয়ার পর তার নামে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন তারা। ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ওটা তাকে মারধর করে স্বীকার করানো হয়েছে। আমি ফ্রি হয়ে এলাকায় আসব, এরপর আপনাদের নিয়ে এলাকায় যাব। তখন দেখব আমার নামে কেউ কিছু বলে কি না?
জানা গেছে নজরুলের দেশের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে। তিনি কোন মন্ত্রণায়লের অধিনে চাকরিরত তা জানতে চাইলে তিনি উল্টো সাংবাদিক কোন মিডিয়ায় চাকরি করেন তা জানতে চান। সাংবাদিক তা জানালে বলে আপনার সম্পাদকের সাথে আমার পরিচয় আছে, তাকে চিনি আমি। তবে তিনি কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করেন তা জানাননি।
এবিষয়ে জানার জন্য ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল বারী মুঠোফোনে জানান, আমি এ ঘটনার কিছুই জানতাম না। আপনার থেকেই প্রথম জানলাম। কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড