• শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯  |   ২২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেরপুরের স্বপ্নময়ী উদ্যোক্তা আইরিন পারভীন

  শাকিল মুরাদ, শেরপুর

০৮ মার্চ ২০২২, ১৯:২১
কুটিরশিল্প
আইরিন পারভীনের দুটি কারখানায় কাজ করছেন প্রায় দুই শতাধিক নারী (ছবি : অধিকার)

শেরপুরের উদ্যোক্তা আইরিন পারভীন, যিনি মায়ের কাছে সেলাইয়ের কাজ শিখে ষষ্ঠ শ্রেণিতে মাফলার সেলাই করে মজুরি পেয়েছিলেন দশ টাকা। সেই উপার্জনের চেষ্টার মূলধন এখন ত্রিশ লাখ টাকা। সুঁই সুতোয় নিজের স্বপ্ন পূরণ করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি নাম লিখেছেন একজন সফল উদ্যোক্তার খাতায়।

সময়ের পরিবর্তনে আর ব্যবসার পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দুটি কারখানায় কাজ করছেন প্রায় দুই শতাধিক নারী। অনেক মা এখানে কাজ করে সংসারের অবস্থার পরিবর্তন করেছেন, এখন মেয়েও যুক্ত হয়েছেন একই পেশায়। তাদের হাতে তৈরি পণ্য যাচ্ছে ভারত, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে। মেয়েদের পোশাক, বিছানার চাদর, নকশিকাঁথাসহ শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে বাহারি ডিজাইনের পোশাক। আর এখানে কাজ করে অনেকে ঘুরিয়েছে তাদের সংসারের চাকা।

সফল নারী উদ্যোক্তা ও অনন্যা বুটিকের স্বত্বাধিকারী আইরিন পারভীন বলেন, আমি মায়ের মতো জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেলাইয়ের কাজ করে যেতে চাই। তবে আমি সরকারি কিংবা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে কর্মীদের নিয়ে আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে অনেকের। ইতোমধ্যে আমার এখানে কাজ করে অনেক নারীই স্বাবলম্বী হয়েছেন।

অনন্যা বুটিকে কাজ করা শ্রমিক আয়শা বেগম বলেন, আগে আমাদের সংসার ঠিক মতো চলতো না। অনেক কষ্ট করে দিনাতিপাত করতে হতো। বর্তমানে আল্লাহর রহমতে অনেক সুখে আছি। পাশেই আরেকজন শ্রমিক রুপালী বেগম।

তিনি বলেন, আমরা এখানে কাজ করে যা টাকা পাই, তা দিয়েই আমাদের সংসার সুন্দরভাবে চলে যায়। এরকম আরও কারখানা হলে অনেকে নারীই স্বাবলম্বী হবে আমাদের মতো।

মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা শায়লা পারভীন বলেন, আমি আগে জামালপুর থেকে নকশীকাঁথার পোষাক কিনে আনতাম। এখন হাতের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে তাও আবার নিজ শহরে। সত্যি খুব ভালো লাগে। তবে শো-রুম কম ও প্রচার না থাকায় অনেকেই জানেন না। নকশীকাঁথার বেশি শো-রুম থাকলে হয়ত নারীরা আরও এগিয়ে যেতে পারবে।

আরও পড়ুন : পুলিশ স্ত্রীর মামলায় পুলিশ স্বামী শ্রীঘরে

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) শেরপুরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান ফকির বলেন, যারা নকশীকাঁথা নিয়ে কাজ করছেন, ইতিপূর্বে বেশ কিছুজনকে প্রশিক্ষণ ও ঋণের আওতায় আনা হয়েছে। যদি কোনো উদ্যোক্তা বিসিকের কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে তাদের পরবর্তীতে সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

ওডি/এফএইচপি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড