• মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯  |   ২৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বগুড়ায় সজনে ডাটার বাম্পার ফলন

  নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, আদমদীঘি (বগুড়া)

০১ মার্চ ২০২২, ১২:২২
বগুড়া
সজনে ফুল (ছবি : অধিকার)

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহরের সজনে গাছের ডালে ব্যাপক ফুল ফুটেছে। গাছে ফুল দেখে এবার সজনে ডাটার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সজনে ব্যবসায়ী বুদু মিয়া বলেন, বাম্পার ফলনের আশায় বাড়ি ও বাগানে গিয়ে আগাম গাছের সজনে কিনছি। আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার গত কয়েক বছরের চেয়ে সজনে বেশী উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে আমরা সাজনে ব্যাবসায়ীরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাইতো আগাম গাছ কেনা শুরু করেছি।

সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর সজনে ব্যবসায়ী আমিনুল হক সুজন বলেন, সজনে গাছে এবার প্রচুর পরিমানে সাজনে ডাটার ফুল ফুটেছে। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে সজনে ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মুখোরচক ও পুষ্টিগুনে ভরপুর সজনে ডাটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রফতানি করা হয়ে থাকে। বাজারে অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনের দাম বেশি। অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনে ডাটা পুষ্টিগুণ ও স্বাদে বেশী হওয়ায় যে কোন বয়সের মানুষ সজনে খেতে ভালবাসেন।

সান্দিড়া গ্রামের আব্দুল হাই সিদ্দিক বলেন, সজনে ডাটা প্রধানত দুই প্রজাতির। এর মধ্যে এক প্রজাতির বছরে তিন থেকে চার বার পাওয়া যায়।

স্থানীয়ভাবে এর নাম রাইখজ্ঞন। বড় ও মাঝারি ধরনের একটি গাছে ছয় থেকে আট মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া য়ায়। বিনা খরছে অধিক আয় হওয়ায় অনেকেই ব্যানিজ্যিকভাবে সজনে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আদমদীঘি উপজেলার মাটি, পানি ও আবহাওয়া সজনে চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এই উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহর ও এর আশে পাশের সর্বত্রই প্রচুর পরিমানে সজনে গাছ আছে। এই সব গাছ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার টন সজনে উৎপাদন হয়।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমানের চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম রবি বলেন, সজনে সবজিতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ আয়রণসহ প্রটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ. বি. সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে সজনে ডাটা ঔষধী সবজি হিসাবেও ব্যাপক সমৃদ্ধ। এছাড়া গাছের ছাল এবং পাতা রক্ত আমাশায় পেটের পিড়া ও উর্চ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, এই উপজেলায় মাটি ও আবহাওয়া সাজনে চাষে উপযোগী। এখানে ব্যানিজ্যিকভাবে সজনে চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকে আম, জাম, কাঠাল, লিচু বাগানের মত এখন সাজনে গাছের বাগান করতে শুরু করেছে অনেকে।

ওডি/এফই

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড