রয়েল আহমেদ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় পেঁয়াজের প্রচুর চাষ হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় পাইকপাড়া গ্রামে।
এ বছর ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। সার এবং কীটনাশকের ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষক বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করার পর এবার তারা পেঁয়াজখেতে শ্যাম্পু স্প্রে করছেন। শ্যাম্পু স্প্রে করার মাধ্যমে তারা ভালো ফল পেয়েছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলায় চাষযোগ্য জমি আছে ২৮ হাজার ৫শ হেক্টর। তার মধ্যে এ বছর পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯শ ৬৬ হেক্টর জমিতে। রোপণ করা হয়েছে ৮৪০৫ হেক্টর জমিতে। বারি-১, লাল তীর, লাল তীর কিংসহ বেশ কয়েকটি জাতের পেঁয়াজ বেশি চাষ হচ্ছে।
ধুলিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক হাফিজ বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করেছি। ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহারের সাথে সাথে আমি জমিতে শ্যাম্পু স্প্রে করেছি। এতে আমি ভালো উপকার পেয়েছি। শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ওষুধ পেঁয়াজ পাতায় সহজেই লেগে যায়। এ কারণে ওষুধে ফলাফল পাওয়া যায়।
বড় মৌকুড়ি গ্রামের কৃষক নিয়ামত বলেন, পেঁয়াজের জমিতে শ্যাম্পু দিয়ে আমি উপকার পেয়েছি। পোকামাকড় মরে যায়। শুনেছি অনেকেই হুইল পাউডারও দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
শৈলকুপা উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মারফত হোসেন জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে পেঁয়াজ রোপণ বেশি হয়েছে। কিছু কৃষক পেঁয়াজখেতে শ্যাম্পু স্প্রে করছেন। শ্যাম্পু স্প্রে করলে কালো জাব পোকা মারা যায়। পেঁয়াজ পাতায় ওষুধ আটকে থাকার কারণে ওষুধের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকে।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড