সাইদুজ্জামান সাগর, রাণীনগর (নওগাঁ)
বাজারে সরিষার আশানুরুপ দাম ও ভালো চাহিদা থাকায় চলতি মৌসুমে বেশ লাভবান হচ্ছেন নওগাঁর রাণীনগরের সরিষা চাষিরা। অল্প শ্রম আর স্বল্প খরচে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে এখন শোভা পাচ্ছে উৎফুল্ল হাসি। এতে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কৃষি অফিসার রুনা লায়লা ও আমিনুল ইসলাম।
সরিষা চাষিরা বলছেন, প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে জমিতে হাল চাষ থেকে শুরু করে সরিষা রোপণ, সার ও কিটনাশক প্রয়োগসহ কাটা মাড়াই পর্যন্ত ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। এ বছর সরিষার জাত ভেদে ফলন ও দাম অনুযায়ী প্রতি বিঘাতে ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে।
আবাদপুকুর হাটে সরিষা কিনতে আসা আড়ৎদার আনোয়ার হোসেন বলেন, সরিষার জাত এবং দানার রকম ভেদে ২ হাজার থেকে শুরু করে ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ পর্যন্ত কিনেছি। দাম আরও বাড়তে পারে।
রাণীনগর সদরের সিম্বা গ্রামের সেফাতুল্লাহ মন্ডল, মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের আহাদ আলী, কালীগ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান, রাজাপুর গ্রামের কৃষক মহসিন আলী জানান, প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ হারে সরিষার ফলন পেয়েছেন তারা। আবাদপুকুর হাটে প্রতি মণ সরিষা প্রায় ২ হাজার ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দুই হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এই উপজেলায় চাষ হয়েছে, বারী-১৭, বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-৯ এবং বারি-৭ জাতের সরিষা। এরমধ্যে বারী-৭ ও বারী-১৪ উচ্চ ফলনশীল জাত। আবহাওয়া ভালো ও রোগ-বালাই না থাকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনসহ বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।
আরও পড়ুন : ধ্বংসের পথে ৯০০ বছরের পুরনো মসজিদ
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর সরিষা চাষ করে কৃষকদের বিঘা প্রতি প্রায় ১৩ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে। সরিষা চাষে জমিতে একদিকে যেমন মাটির উর্বর শক্তি বাড়ে তেমনি সরিষা চাষের সময় জমিতে যে পরিমাণে খাদ্য দেওয়া হয় তাতে স্বল্প সার, চাষে অধিক পরিমাণ বোরো ধানের ফলন পাওয়া যায়।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড