হারুন আনসারী, ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার দয়ারামপুর বাজারে সনাতন ধর্মের রীতিতে ধুমধাম করে বটগাছ ও পাকুড়গাছের বিয়ে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে গ্রামের প্রায় পাঁচশ মেহমানকে নিমন্ত্রণ করে দাওয়াত খাওয়ানো হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শুভলগ্নে শুরু হয় বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা চলে রাত পর্যন্ত।
গোধূলিলগ্ন ধরে পুরোহিত শ্যামল কুমার দাস মন্ত্র পড়ে বট গাছকে ‘বর’ ও পাকুড় গাছকে ‘কনে’ হিসেবে ধরে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। দয়ারামপুর বাজার কমিটির আয়োজনে বিয়ে উপলক্ষে পুরো বাজার সাজানো হয়।
বর বটগাছের বাবা হয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী অধির ব্যানার্জী ও পাকুড় গাছের বাবা ছিলেন একই গ্রামের ব্যবসায়ী অরুণ সাহা। তারা দুজনই বাবার দায়িত্ব পালন করতে পেরে বেশ খুশি।
তারা বলেন, এই বট-পাকুড় গাছের বিয়ের মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যেও আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট থাকবে।
এলাকাবাসী জানায়, বট-পাকুড় গাছের চারপাশ সকালেই গোবর মাটি দিয়ে লেপে রঙের আচড় দিয়ে সাজানো হয়। বিয়েকে ঘিরে বর-কনের পাশে সাজানো হয় ছাদনাতলা। মঙ্গলঘট বসিয়ে শুরু হয় ছাদনাতলার বিয়ের নিবেদন।
বিয়েতে আগত আরতি সাহা, মনিকা সাহা ও নিপা সাহা বলেন, এই ধরনের বিয়ের কথা শুনেছি। কিন্তু কখনোই দেখা হয়নি। এই প্রথম দেখলাম। খুব আনন্দ পেয়েছি। মজা পেয়েছি। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এই বিয়ে দেখতে এসেছে।
এ ব্যাপারে দয়ারাম বাজার কমিটি ও বিয়ে আয়োজক কমিটির সদস্য শংকর কুমার মালো বলেন, হিন্দু ধর্ম মতে বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হলে গ্রামের মানুষের মঙ্গল হয়। আমাদের পবিত্র গীতাতেও বট-পাকুড়ের বিয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সাইদ চৌধুরী বারি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যদিও জায়গাটা আমার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী। বিয়ের কথা শুনেছি। নিমন্ত্রণও পেয়েছিলাম তবে সময়ের অভাবে যাওয়া হয়নি। তবে জানতে পেরেছি অনেক ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছে।
ওডি/ওএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড