মাহফুজ আলম প্রিন্স, রংপুর
আগাম আলু চাষে লোকসানের পাল্লা ভারি হওয়ায় এবারও রংপুরের চাষিদের চোখেমুখে দেখা দিয়েছে আতঙ্কের ছাপ। পাইকারি ও বাজারে দাম না থাকায় আগাম আলু নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন চাষিরা। চাষিদের অভিযোগ, পানির দামে বিক্রি করা হচ্ছে আলু। এতে উৎপাদন খরচ তো উঠছেই না, বরং ক্রেতার পেছনে ঘুরতে ঘুরতেই দিন শেষ তাদের।
এবার রংপুর জেলায় ৫১ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলুর চাষাবাদ হয়েছে। রংপুর জেলার সাত উপজেলাসহ তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ও বিভিন্ন ইউনিয়নসহ মিঠাপুকুর, কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জের অধিকাংশ উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়। এসব জমিতে আলুর বাম্পার ফলন হলেও বাজার দামে কৃষকের মুখে হাসি নেই।
সরেজমিনে অনেক কৃষক জানান, কেজিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ৩ থেকে ৪ টাকা করে লোকসান হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার আলুচাষি সবুজ খান বলেন, ‘আগাম জাতের আলু চাষাবাদ করেছি। এখন দেখি বাজারে দাম নেই। আমরা মাঠে মারা যাচ্ছি। কারণ উৎপাদন খরচই উঠছে না। তবুও বাকিতে আলু বিক্রি করে দিলাম।’
রংপুর সিটি বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, ‘আলুর উৎপাদন বেশি হওয়া ও একসঙ্গে কৃষকরা আলু উত্তোলন করায় বাজারে চাহিদা কম। তাই দামটাও কমে গেছে।’
আরও পড়ুন : রূপগঞ্জে তীব্র গ্যাস সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান জানান, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তবে আগাম জাতের আলু সংরক্ষণের কোনো সুযোগ এই অঞ্চলে নেই। আর সব জায়গায় বোরো চাষাবাদের জন্য কৃষকরা আলু উত্তোলণ করছেন। ফলে বাজারে এখন দাম তুলনামূলক কম। তবে পর্যায়ক্রমে আলু তোলা হলে তেমন লোকসান হতো না।
ওডি/এএম
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড