এসএম রাসেল, মাদারীপুর
মাদারীপুরে এক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে আদালত এ রায় প্রদান করেন। এ সময় ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিল। আরেকজন বর্তমানে পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার মৃত চৈতন্য বৈদ্যর ছেলে অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য, গৌরঙ্গ বৈদ্যর সাথে একই এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্যের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর পূজার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে গুরুপদ বৈদ্যর স্ত্রী ও বিষ্ণু পদ বৈদ্যের মাতা রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই এলাকার চৈতন বৈদ্যর ছেলে অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য, গৌরঙ্গ বৈদ্য, পদ বিশ্বাসের ছেলে কালু বিশ্বাস, নরেন বৈরাগী ও বিজয় বেপারী।
এ ঘটনায় অপহরণের পরের দিন রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্য। মামলার দায়েরের ১০দিন পর থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী পাখুল্লার বিলের মধ্যে কচুরিপানার নিচ থেকে নিহত রাধা রানী বৈদ্যের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোখলেসুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময় গৌরঙ্গ বৈদ্য মারা যায়। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় প্রদান করেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন, আমগ্রাম এলাকার অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, তরনী বৈদ্য। প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : পৌরমেয়রকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ২
মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমগ্রাম এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্যকে পাখুল্লার বিলে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে আসামিরা। হত্যাকাণ্ড ঘটার ১১দিন পর ওই বিল থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের লাশ উদ্ধার করে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় আদালতে ১১ জন সাক্ষী উপস্থাপন করি। অবশেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রায় প্রদান করেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
ওডি/এএম
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড