মনোয়ার হোসেন রুবেল, ধামরাই (ঢাকা)
ঢাকার ধামরাইয়ে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামে মামার হাতে ভাগনি ধর্ষণের ঘটনায় মো. আমির হোসেন আমুকে (৪২) গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ভাগনি চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়েছে।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত আমু ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের মো. ইজ্জত আলীর ছেলে। মেয়েটি আমুর ফুফাতো বোনের মেয়ে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত চারমাস আগে ওই ভাগনি আমুর বাড়িতে আমুর মেয়ের সাথে পাশের রুমে ঘুমায়। পরে আমুর মেয়ে বিছানা ছেড়ে প্রাইভেট পড়তে গেলে সেই সুযোগে আমু গোপনে মেয়ের কক্ষে প্রবেশ করে ভাগনিকে ধর্ষণ করে। পরে ভাগনি চিৎকার করলে আমু তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে ভাগনি ও তার পরিবার চুপ হয়ে যায়। পরে গত একমাস আগে ভাগনির বিয়ে হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে হলে মেয়েকে পরীক্ষা করানো হলে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, আমু মামা আমাকে জোর করে তার মেয়ের কক্ষে ধর্ষণ করেছিল। আমি চিৎকার করলে আমু আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মামা সাত্তার বলেন, আমু আমার আপন ফুফাতো ভাই। তাকে আমরা সব দিক দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকি। কিন্তু আজ সে এটা কী করলো আমার ভাগনীকে? আমরা সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। আমার ভাগনিকে কত টাকা খরচ করে বিয়ে দিয়েছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
আরও পড়ুন : এলাকায় আতঙ্ক, বিদ্যালয়ে আসেনি কোনো শিক্ষার্থী
এ বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাসেল মোল্লা বলেন, আমু লালসার শিকার হয়ে ফুফাতো বোনের মেয়ে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এমন একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আমির হোসেন আমুকে কাওয়াখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
ওডি/এএম
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড